উত্তর-পূর্ব ভারতের কচ্ছপ সংরক্ষণ নিয়ে আজ সারা দিন ধরে একটি কর্মশালা হল গুয়াহাটিতে। আরণ্যক ও টার্টল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স-এর যৌথ উদ্যোগে খানাপাড়ার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্ট ভবনে প্রথম বার এই কর্মশালা হয়।
মিঠে জলের কচ্ছপের
স্বর্গরাজ্য উত্তর-পূর্ব ভারত। কিন্তু এখানকার কচ্ছপ নিয়ে কোনও বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা, প্রকল্প, সুমারি এত দিন হয়নি। কচ্ছপদের থাকার জলাশয় কমে যাওয়া এবং কচ্ছপ খাওয়া বেড়ে যাওয়ায় এখানে কচ্ছপ প্রজাতি বিপন্ন। আলোচনা সভায় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।
কচ্ছপ বাঁচাতে ২০১০-এ লখনউয়ে ‘জাতীয় কচ্ছপ প্রাধান্য এলাকা’ সংক্রান্ত বৈঠকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর-পূর্ব ভারতে সেই প্রস্তাবগুলি কতটা কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয় কর্মশালায়।
বিস্তারিত আলোচনা হয় এখানকার কচ্ছপ প্রজাতি চিহ্নিতকরণ, তাদের সংখ্যা গণনা, সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়েও। কর্মশালায় অংশ নেন বিশেষজ্ঞ বিভাবকুমার তালুকদার, শৈবাল সেনগুপ্ত, অভিজিৎ দাস, আনওয়ারউদ্দিন চৌধুরি, মুখ্য বনপাল সুরেশ চাঁদ, ডিএফও (চিড়িয়াখানা) উৎপল বরা প্রমুখ।
শৈবালবাবু বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের কচ্ছপদের মধ্যে ১৫টি প্রজাতিই বিপন্ন। জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের বাইরে থাকা কচ্ছপদের কোনও নিরাপত্তা নেই। কচ্ছপ সংরক্ষণ দিনে দিনে কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারণ জনতার সচেতনার উপরে নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই।”
এ দিন অভিজিৎবাবু বলেন, “ভারতের ২৯ প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে উত্তর পূর্ব ভারতে নরম খোল ও শক্ত খোলের কচ্ছপদের ২১টি প্রজাতির দেখা মেলে। কিন্তু এদের নিয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা হয়নি।
এদের চারণভূমি, প্রজনন প্রক্রিয়া, খাদ্যাভ্যাস এবং সর্বোপরি এলাকাভিত্তিক বিতরণ নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।” |