চা বাগানের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ল দুই চোরাশিকারি। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার মেথনি চা বাগানে। পুলিশ ও বনবিভাগ সূত্রে খবর, গন্ডার মারার মতলবে মদন ওরাং ও বিজু ওরাং নামে দুই চোরাশিকারি মেথনি চা বাগানের কর্মী রঞ্জিত কুর্মির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। দু’জনেরই বাড়ি বোকাখাতের কানধুলিমারি গ্রামে। রঞ্জিতের নামে মেথনি এলাকায়, গন্ডার হত্যার অভিযোগ ছিলই। গ্রেফতার করলেও, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে পুলিশ তাকে শাস্তি দিতে পারেনি। বাগান কর্মীরা জানান, গন্ডার মারার ব্যাপারে, বেশ কিছুদিন ধরেই মদন ও বিজু, রঞ্জিতের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। রঞ্জিত চা বাগানের মজদুর সংস্থাকে সব জানায়। সেই মতো, চা মজদুর সঙ্ঘের নেতারাই ফাঁদ পেতে দুইজনকে আসতে বলেন। কাল রাতে রঞ্জিতের সঙ্গে দেখা করতে এলে ওই দুইজনকে পাকড়াও করা হয়। পরে, তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত দুই চোরাশিকারির কাছ থেকে মিলেছে গুলি ও একটি .৩০৩ রাইফেল। চা বাগান শ্রমিকদের এমন সক্রিয় সহযোগিতায় পুলিশ এবং বনকর্তারা অভিভূত।
|
মালবাজার থেকে ৫ কিমি দূরে ঝোপের আড়ালে দিনভর দাড়িয়ে রইল হাতির পাল। শুক্রবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ডামডিম এলাকার চাকলাবস্তির বৌদ্ধগুম্ফার পাশেই সকাল থেকে ৩০-৩৫টি হাতির দলটি দাড়িয়ে পড়ে। দলটিকে শাবকও ছিল। এলাকায় জনবসতি না থাকায় দলটি দিনভর ওই এলাকায় থাকে। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাটি হাতিদের করিডর হিসাবে চিহ্নিত। ভুট্টাবাড়ির জঙ্গল থেকে দলটি এসেছিল। খবর পেয়ে এলাকায় ভিড় জমে। তবে দলটিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে সে দিকে লক্ষ রাখেন বনকর্মীরা। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ (২) ডিএফএও সুমিত ঘটক বলেন, “মাঝেমধ্যেই ওই এলাকায় হাতি আসে। সন্ধ্যার পর হয় ভুট্টাবাড়ি নইলে আঁপালচাঁদের জঙ্গলে দলটি ঢুকে পড়বে।” |