বিক্ষুব্ধদের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়ক। সাসপেন্ড করলেন দলীয় সাংসদ পেয়ারিমোহন মহাপাত্রকে। মহাপাত্রের অনুগত দুই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া মন্ত্রীরা হলেন মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী অঞ্জলি বেহরা এবং বাণিজ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী সঞ্জীব সাহু। একইসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই বিধায়ক প্রভাত বিসওয়াল ও বিভূতি বলবন্ত রাইকেও। সাসপেন্ড হওয়ার খবরে নবীনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে মহাপাত্র বলেন, “আঘাত পেয়েছি, তবে অবাক হইনি। আমার কঠিন পরিশ্রমে এই দল তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও উপনির্বাচনে দলে আমার জনপ্রিয়তা দেখার পর থেকেই ভয় পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন নবীন।” |
নবীনকে অভ্যথর্না। ছবি: পি টি আই |
তাঁর অনুপস্থিতিতে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে ব্রিটেন সফর কাটছাঁট করে আজ তড়িঘড়ি ফিরে আসেন নবীন। বিজেডি নেতাদের সঙ্গে সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিজেডি সাংসদ পেয়ারিমোহন মহাপাত্র দলের ৩০ জন বিধায়ককে নিজের বাড়িতে ডেকে বিশেষ বৈঠক করেন। এর মধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েক জন মন্ত্রীও ছিলেন। দলে ভাঙন ধরিয়ে মহাপাত্র নিজে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান দলের নেতারাই। পরিস্থিতি সামাল দিতে লন্ডন থেকেই নবীন ফোনে মহাপাত্রকে হুমকি দেন, দল ভাঙার চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভাল হবে না। আজ ফেরার পর মহাপাত্রের বাড়িতে যাওয়া বিধায়কদের মধ্যে ২০ জনের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলেন নবীন। কথা হয় অন্যদের সঙ্গেও। প্রবীণ বিজেডি নেতা দামোদর রাউত জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সরকার ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। এ কথা সে দিন মহাপাত্রের বাড়িতে যাওয়া কয়েক জন নেতা নিজেই স্বীকার করেছেন।” রাউত জানিয়েছেন, পেয়ারিমোহন ২৫ থেকে ২৮ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা এগিয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে তাঁরা নতুন সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে কংগ্রেস নিজের থেকে এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান রাউত। আগামী বুধবারই বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল মহাপাত্রের। ভাতলির বিধায়ক সুশান্ত সিংহ বলেন, “আমাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন পেয়ারিবাবু। ওখানে পৌঁছে অনেককে দেখতে পাই। আমাকে একটি কাগজে সই করতে বলা হয়। পরে বুঝতে পারি বিজেপি সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে যাঁরা পেয়ারিবাবুকে সমর্থন করছেন, তাঁরাই সই করছেন ওই কাগজে।” |