অতীতকে পিছনে ফেলে বাহিনীকে আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য বলে জানালেন নয়া সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ। সাধারণ নাগরিক ও সেনার মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার দিকে যেমন তিনি মন দেবেন, তেমনই ধরে রাখবেন বাহিনীর ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক’ চরিত্র।
এর মধ্যে, ঘুষের বিনিময়ে বেশি দাম দিয়ে নিম্ন মানের টাট্রা ট্রাক কেনার অভিযোগ তোলার জন্য প্রাক্তন সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংহকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা বিইএমএল। ‘মিথ্যা’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ আনার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
|
নয়া সেনাপ্রধান |
বিজয়কুমার সিংহ জানান, এই অভিযোগ এনে তিনি অন্যায় করেননি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর অভিযোগ ছিল, নিম্ন মানের ৬০০টি টাট্রা ট্রাক কেনার বিষয় অনুমোদনের জন্য তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে বলেও হুমকি দেন বিইএমএল-এর চেয়ারম্যান তথা এম ডি ভি আর এস নটরাজন।
আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাইরে ‘গার্ড অফ অনার’ নেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে বিক্রম সিংহ বলেন, “গাড়ি চালানোর সময় সামনের দিকে তাকাতে হয়। রিয়ার ভিউ আয়নায় তাকিয়ে গাড়ি চালানো যায় না। আমারও সেই কথা। আগে যা ঘটেছে, ঘটেছে। সব ভুলে বাহিনীকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে আমার কাজ।” প্রাক্তন সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংহ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বাহিনীতে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ঘাটতির কথা। সে প্রসঙ্গে বিক্রম সিংহ বলেন, “যে কোনও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো মজবুত করা খুব জরুরি। সে দিকে লক্ষ রাখা হবে।”
জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বের দেশগুলিতে আফস্পা জারি রাখার প্রসঙ্গে নতুন সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ আজ বলেছেন, “এই ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রকে নিজেদের মত জানিয়েছি। ওঁরা যা ঠিক মনে করবেন সেটাই করবেন।” উত্তর-পূর্ব ভারতে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে। আবার, লাদাখ-সহ কয়েকটি জায়গায় জওয়ানরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অফিসারদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকটি ঘটনারই কারণ খতিয়ে দেখার পর নিয়ম মেনে সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিক্রম সিংহ। |