হাম্পি এক্সপ্রেসের পরে দুন পরপর রেল দুর্ঘটনার জন্য আজ সরাসরি মুকুল রায়কেই দায়ী করল সিপিএম। পলিটব্যুরোর দাবি, প্রধানমন্ত্রী কোনও ভাবেই রেলমন্ত্রীর কর্তব্যে গাফিলতিকে উপেক্ষা করে চোখ বুজে থাকতে পারেন না।
গত ন’দিনে দু’টি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে রেলে। দু’টি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৬ মে রোহ্তকে একটি রেল দুর্ঘটনাতেও বহু যাত্রী আহত হন। সিপিএমের বক্তব্য, রেলের দুরবস্থার দায় রেলমন্ত্রী মুকুল রায়কেই নিতে হবে। যদিও তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি রেলের থেকে তৃণমূলের কাজকর্ম ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব নিয়েই বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। গত কাল দেরাদুনগামী দুন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পরে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। পলিটব্যুরোর বক্তব্য, “রেলমন্ত্রী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাশকতার কথা বলে এটা লুকোতে পারেন না যে রেলের প্রাথমিক সুরক্ষা ব্যবস্থাও যথেষ্ট অবহেলিত হচ্ছে।’ সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, সুরক্ষা ব্যবস্থায় অবহেলা শুরু হয়েছিল মমতার আমল থেকেই। সেই কারণেই তিনি এখন দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন।
রেল মন্ত্রকও এটা মানছে যে, সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তার জন্য টাকার সংস্থান নেই। রেলমন্ত্রী তাই সুরক্ষা খাতে একটি বিশেষ তহবিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন। কারণ, ১০০ টাকা আয় করতে গিয়ে প্রায় ১০০ টাকাই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে রেলের। আয় তলানিতে। অথচ যাত্রী-সুরক্ষার স্বার্থেই নতুন রেললাইন, বিশেষ কামরা, অত্যাধুনিক সিগনাল ব্যবস্থা দরকার। কিন্তু রেলের ভাঁড়ারে তার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই। |