দু’বছরের মধ্যে গঙ্গার পরিশোধিত জল পাবেন রাজারহাট, নিউ টাউন, নবদিগন্ত ও সল্টলেকের বাসিন্দারা।
গঙ্গা থেকে জল তুলে এনে তা পরিশোধন করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। পাশাপাশি, পরিশোধিত ওই জল সরবরাহ করা হবে হাড়োয়া এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকাতেও। চলতি বছরেই ওই জল-প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিতে চান জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর আশা, গোটা প্রকল্পের কাজ ২০১৪ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
রাজারহাট, নিউ টাউন এবং নবদিগন্তে একের পর এক বহুতল তৈরি হলেও অঞ্চলটি এখনও ভূগর্ভের জলের উপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল। যার ফলে ওই এলাকায় ভূগর্ভের জলস্তর দ্রুত নামছে বলে বিশেষজ্ঞেরা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলকে। |
তখনই গঙ্গার জল পরিশোধন করে তা সরবরাহ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই পরামর্শ মেনেই সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গার জল সরবরাহ প্রকল্পের নকশা তৈরি করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
সুব্রতবাবু বলেন, “দৈনিক ১০ কোটি গ্যালন জল সরবরাহ করা হবে নতুন ওই প্রকল্পে। নিউ টাউনের জন্য প্রতি দিন সরবরাহ করা হবে ৬.১ কোটি গ্যালন জল। সল্টলেক পাবে ২.৫ কোটি গ্যালন, নবদিগন্ত ৫০ লক্ষ গ্যালন, হাড়োয়া ১.১ কোটি গ্যালন এবং দক্ষিণ দমদম ২৫ লক্ষ গ্যালন জল পাবে। প্রকল্পের মোট খরচের ৬১ শতাংশ দেবে হিডকো। সল্টলেক ও নবদিগন্তের জন্য ২৫.৫ শতাংশ টাকা দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। দক্ষিণ দমদম ও হাড়োয়ায় জল সরবরাহের খরচ বহন করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।”
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একটি জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে নিউ টাউনে। আরও তিনটি কেন্দ্র তৈরি করবে তাঁর দফতর। তিনি জানিয়েছেন, বাম আমলেও প্রথমে পাইপে করে গঙ্গার জল এনে পরিশোধনের পরিকল্পনাই করেছিল হিডকো। কিন্তু পরে প্রকল্পের রূপরেখা বদল করে বাগবাজার, কেষ্টপুর ও পাশখাল দিয়ে গঙ্গার জল টেনে আনার প্রকল্প তৈরি করা হয়। সম্ভাব্য খরচ দেখানো হয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দুই পাড়ের বর্জ্য খালে ফেলা বন্ধ করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেই প্রকল্প আর বাস্তবায়িত করা যায়নি। তাই গঙ্গার জল শোধন করেই সল্টলেক, নিউ টাউনে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন সরকার। |