বন্ধের দিনে বাস না চালানোর প্রতিবাদে শুক্রবার প্রায় সাত ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের বিরুদ্ধে।
এ দিন ভোরে জামুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে জামুড়িয়া থেকে আসানসোলগামী একটি মিনিবাসের চালককে জনাকয়েক তৃণমূলের পরিবহণ কর্মী বন্ধের দিন বাস কেন চালাননি, এই প্রশ্ন তুলে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এমনকী, বন্ধের দিন বাস না চালানোয় শুক্রবারও তাঁদের বাস চালাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এর পরে একে একে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সতেরোটি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার জেরে আসানসোল, রানিগঞ্জ, হরিপুর ও দোমহানি থেকে যাতায়াত করা বাকি ৩৫টি বাসও সেখানে আর আসেনি। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, বন্ধের দিন বাস না চালানোয় এ দিন জামুড়িয়া বাস্ট্যান্ডে আসা বাসগুলিকে চলতে দেওয়া হয়নি। পরে আসানসোল থেকে সংগঠনের নেতারা গিয়ে সমস্যা মেটান। তবে এ দিন দুপুর ১২ টার পর অর্ধেক বাস চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওর্য়াকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া অবশ্য বাস না চালাতে দেওয়ার কারণ হিসেবে অন্য কথা বলেন। তাঁর দাবি, বন্ধের দিন সিপিএম নেতা মনোজ দত্তের লোকেরা জামুড়িয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে আসানসোল থেকে আসা দু’টি মিনিবাসকে আটকে চালক-সহ বাসের অন্য কর্মীদের নিগ্রহ করে ও হুমকি দেয়। বিকেলে মনোজবাবুর অনুগামীরাই চাঁদামোড়ে আসানসোল থেকে আসা আরও একটি মিনিবাস আটকে চালককে হুমকি দিয়ে আসানসোলে ফিরিয়ে দেয়। এর জেরেই শুক্রবার সকালে বাস পরিবহন কর্মীরা একজোট হয়ে ওই দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে জামুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখান। তিনি বলেন, “আমরা সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ওদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ ওঠাই।”
তবে বাস আটক ও চালককে হুমকির ঘটনা অস্বীকার করেন সিপিএমের অজয়-দামোদর জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্ত। তিনি জানান, তাঁদের কর্মীরা বন্ধের দিন বেনালি থেকে গরুরগাড়িতে মোটরবাইক চাপিয়ে জামুড়িয়া পর্যন্ত পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করেন। বাকি কর্মীরা সকাল থেকে দিনভর জামুড়িয়া বাজারে ওই দাবিতেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন। মনোজবাবু বলেন, “সিপিএমের এত দৈন্যদশা কখনও হবে না যে বিজেপির ডাকা বন্ধের দিনে পথে নেমে তা সমর্থন করার কাজ করতে হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ফোনে এই খবর জানানো হলেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিক্ষোভকারীরা নিজেরাই বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে। |