এনডিএ-র ডাকা ভারত বনধের বিরোধিতায় নেমে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং পাহাড়কে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এ দিন পাহাড়ের জনজীবন ছিল একদম আর পাঁচটা দিনের মতো। পর্যটকেরাও অবাধে যাতায়াত করেছেন। মোর্চার দার্জিলিং টাউন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ প্রধান বলেন, “পর্যটন মরসুম চলছে। পাহাড়ের সর্বত্র দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে। এর মধ্যে একদিন বন্ধ মানে পর্যটকদের ভোগান্তি। তাই বন্ধের বিরোধিতা করেছি। আমজনতাকে পাহাড়কে সচল রাখার অনুরোধ করেছি। মানুষ সাড়া দিয়েছেন।” দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং মহকুমায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। |
মোর্চার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “এলাকার সব রাজনৈতিক দলের কাছে পর্যটনকে বনধ, ধমর্ঘটের বাইরে রাখার আবেদন করেছিলাম। মোর্চার তরফে যা করা হয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আশা করি, আগামীদিনে অন্য দলগুলিও বিষয়টি মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেবে।” বন্ধ উপেক্ষা করে মালদহ, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সর্বত্র সরকারি অফিস-আদালতে হাজিরার হার ছিল প্রায় স্বাভাবিক। জলপাইগুড়িতে বনধে সরকারি দফতর, স্কুল খোলা থাকলেও বেশির ভাগ এলাকাতেই দোকান বন্ধ ছিল। তবে জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানে প্রভাব পড়েনি। ধূপগুড়িতে এ দিন একটি সরকারি বাসে বনধ সমর্থকরা ঢিল ছুড়ে কাচ ভেঙে দেয়। ওই ঘটনায় ৭ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধূপগুড়িতে গ্রেফতারের সংখ্যা ৫২ জন। কোচবিহার শহরেও দোকান পাট বন্ধ ছিল। মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ ও মেখলিগঞ্জে বনধের প্রভাব পড়েনি। কোচবিহারে এনবিএসটিসির ৩টি বাস বনধ সমর্থকরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। বনধের সমর্থনে মিছিল করার সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ-সহ শতাধিক বনধসমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করে। |