| মেয়র পারিষদদের বৈঠকে যে সমস্ত ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে তা-ই পুরসভার মাসিক সভায় পাশ করানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব হলেন ক্ষমতাসীন তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের কাউন্সিলরদের একাংশ। বৃহস্পতিবার পুরসভার বোর্ড মিটিং চলাকালীন ওই আপত্তি জানিয়ে সরব হন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা, কংগ্রেসের কাউন্সিলর সুজয় ঘটক ও কংগ্রেসের মেয়ার পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা। তাঁদের আপত্তিতে ১৩টি বাড়ির নকশার অনুমোদনের প্রস্তাব স্থগিত রাখতে বাধ্য হন পুর কর্তৃপক্ষ। ওই নকশাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি বাম জমানায় প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন পেয়ে কাজ আরম্ভ করে। তাতে বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় বর্তমান জোটের আমলে কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হন ওই নির্মাতা সংস্থাগুলি। মেয়র অবশ্য বলেন, “আপত্তি ওঠায় বেশ কিছু বাড়ির নকশা অনুমোদনের কাজ আপতাত স্থগিত রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভাল করে খতিয়ে দেখার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের পরে বাম কাউন্সিলর বলরাম নাথ বক্তব্য শেষ হতেই বামেরা সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন। পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “শহরের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কিছু বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলাম। নিয়ম মতো সেই আবেদনও করি। অথচ বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হল না। এমন হলে আমরা মুখে সেলোটেপ এঁটে সভায় আসব।” পুরসভার একটি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে বিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত নির্মাতা সংস্থাগুলিকে জরিমানা করা হবে। সে জন্য দেখেশুনে এগোতে চাইছে পুরসভা। সম্প্রতি ৩ জনের একটি বিল্ডিং কমিটি গড়া হয়েছে। যে বাড়িগুড়ির নকশা অনুমোদন করা হচ্ছে তা ঠিক রয়েছে কি না সেগুলি খতিয়ে দেখছেন ওই কমিটির সদস্যরা। ওই কমিটিতে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র, দেবশঙ্করবাবু ও অরিন্দম মিত্র। কমিটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নির্মাণে নানা বিধিভঙ্গের ঘটনা দেখতে পেয়েছে। ডেপুটি মেয়র বলেন, “যে সমস্ত নকশা অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে সেই তালিকায় বেশ কিছু বাড়ির নাম রয়েছ যেগুলি মেয়র পারিষদের বৈঠকে পাশ হয়নি। তাই বুঝতে পারছি না, ভুলবশত সে সব নাম চলে এসেছে কি না।” রঞ্জনবাবু সভাকক্ষেই তালিকায় থাকা অথচ নকশা অনুমোদনে আপত্তি রয়েছে যে বাড়িগুলি তা উল্লেখ করেন। মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা ও কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয় ঘটক দু’টি নকশায় আপত্তি তোলেন। |
