তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বুধবার রাতে এক মহিলা-সহ দু’পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন। দু’পক্ষই পুঞ্চা থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। পুলিশ জানায়, মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। পুঞ্চার লৌলাড়া গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূলের ছাত্রনেতা সুবীর বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বুধবার রাতে দলের পুঞ্চা ব্লক কার্যকরী সভাপতি শ্যামল চট্টোপাধ্যায় তাঁর দুই ছেলে এবং আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হন। বাড়ির বাইরে বেরোতেই মৃত্যুঞ্জয় মাহাতো নামে এক তৃণমূল কর্মী আমাকে পিছন থেকে জাপটে ধরে এবং শ্যামলবাবু ও তার দুই ছেলে শৌভিক, সৌরভ আমাকে মারতে থাকে। মাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।” শ্যামলবাবুর দাবি, “কিছুদিন ধরে সুবীর আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। আমার নামে গালিগালাজও করে। এর কারণ জানতে ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন সে লোহার রড নিয়ে আমার বড় ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেয়।” দলীয় সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে পুঞ্চা সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সুবীরবাবু ও শ্যামলবাবুর মধ্যে বিরোধ বাধে। যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল দত্ত, পঞ্চায়েত সদস্য ধনঞ্জয় ঘোষদের ক্ষোভ, “তৃণমূলের কিছু লোকই দলের প্রধান শত্রু। দুর্নীতি করলে প্রতিবাদকারীর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলা নেতাদের বলেও সুরাহা হয়নি।” অন্য দিকে, দলের পুঞ্চা ব্লক সভাপতি কৃষ্ণপদ মাহাতোর পাল্টা দাবি, “এটি নিছক ব্যক্তিগত কোন্দল। এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই।” যদিও দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তা দলীয় স্তরে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে। শনিবার জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো এলাকায় আসছেন। এই বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হবে।”
|
রেশনে গোলমালে অভিযুক্তকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। বাঘমুণ্ডির পাটহেঁসাল গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত লালধারী সাউয়ের স্ত্রী তিলোত্তমা সাউ সম্প্রতি পুলিশ সুপারের কাছে এই মর্মে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০ মে সকালে কয়েকজন পুলিশ কর্মী এসে তাঁর স্বামীকে না পেয়ে তাঁর সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণ করেন। তাঁর মেয়েকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
পেট্রোপণ্যের অনুসন্ধান করতে চান ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনস থেকে এমটেক পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করা পুরুলিয়ার মেয়ে দীপিকা কেশরী। সম্প্রতি এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পুরুলিয়া শহরের তেলকল পাড়ার
|
নিজস্ব চিত্র। |
বাসিন্দা দীপিকার কথায়, “মাটির নীচে কোথায় জ্বালানির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে-- এটাই ছিল আমার বিষয় ছিল। আমি পেট্রোপণ্যের অনুসন্ধান করতে চাই।” পুরুলিয়ার শান্তময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভাল ফল করে জগন্নাথ কিশোর কলেজ থেকে ভূবিদ্যা নিয়ে তিনি স্নাতক হন। দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজ স্নাতকোত্তর করার পরে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দীপিকা ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনসে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্লায়েড জিওফিজিক্সের প্রফেসর রিমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীপিকা এমটেক-এর পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। আশাকরি তিনি অনেকদূর এগোবেন।” ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক অজয়কুমার ভৌমিকের আহ্বান, “বাংলার আরও বেশি ছেলেমেয়ে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে আসুক।”
|
এক বধূকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গোবিন্দ বাউরি। বাড়ি হিড়বাঁধের শ্যামনগর গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে পুকুরে স্নান করার সময় গোবিন্দ ওই বধূকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বুধবার রাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার খাতড়া আদালতে ধৃতকে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ওই যুবকের পরিবার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে।
|
কারখানা থেকে লোহার যন্ত্রাংশ ও বিদ্যুৎবাহী তার চুরি করে পাচার করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার পাড়া-পুরুলিয়া রাস্তায় পুরুলিয়া মফস্সল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের কাছে তাদের ধরা হয়। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও। ধৃতেরা হল গোপাল গুপ্তা, গণেশ চৌধুরী, গোপাল বাউড়ি ও শেখ সেলিম। তারা পুরুলিয়া ও পাড়ার বাসিন্দা।
|
রাস্তার ধারে একটি ঝোপ থেকে এক সদ্যোজাত এক শিশুপুত্র উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সারেঙ্গা থানার পারুলিয়া গ্রামে দীপালি রায় নামে এক বধূ শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে গ্রামবাসীরা শিশুটিকে সারেঙ্গা খ্রিস্টিয় সেবা নিকেতনে ভর্তি করেন। ওই সেবা নিকেতন জানিয়েছে, শিশুটিকে আপাতত সুস্থ করে কোনও হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
|
খাবারের লোভ দেখিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বুধবার স্থানীয় চেপড়া গ্রাম থেকে কেষ্ট নন্দী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। |