বনধ সচল পাথর শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বনধে বৃহস্পতিবার জেলায় মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় কিছু সরকারি বাস চলাচল করলেও রাস্তায় বেসরকারি নামেনি বললেই চলে। সেই সঙ্গে বেসরকারি অন্য যানবাহনও খুব একটা চোখে পড়েনি। রাস্তা-ঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও অন্য আর পাঁচটা দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল।
আবার অন্য দিকে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। খোলা ছিল সরকারি অফিস, অদালত। পাশাপাশি বনধ রুখতে সরকারের কড়া অবস্থানের কথা মাথায় রেখে হাজির ছিলেন কর্মীরাও। কোথাও আবার সরকারি দফতরে কর্মীরা বিজেপির পতাকা সরিয়ে গেট খুলে ভিতরে ঢোকেন। জেলার পাথর শিল্পাঞ্চলগুলিতে এবং বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অবশ্য বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
সিউড়িতে জেলাশাসকের ট্রেজারি বিভাগ। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি অফিস আদালতের বাইরে বনধ সমর্থকেরা দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিলেও যথাসময়ে পুলিশ সেগুলি খুলে দেয়। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “এ দিনের বনধে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলায় সরকারি কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩ শতাংশ।” পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা অবশ্য জানিয়েছেন, বনধকে ঘিরে সে রকম কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জোর করে সরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস ও যান চলাচল বনধ করতে চাওয়ায় মোট ৩৭ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বনধ সফল করার লক্ষ্যে এ দিন সকাল থেকেই পথে নেমেছিলেন বনধ সমর্থকেরা। জেলার রামপুরহাট, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর, সিউড়ি, দুবরাজপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্লক, পঞ্চায়েত কার্যালয়গুলিতে পতাকা আটকে দিয়ে কর্মীদের ঢুকতে বাধা দিয়েছেন বনধ সমর্থকেরা।
বোলপুর জেলা পরিষদ
দুবরাজপুর
আবার মিছিল করে কোথাও ট্রেন বা সরকারি বাস আটকে বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। যেমন এ দিন সকালে রামপুরহাটের কাষ্ঠগড়ার কাছে আম্ভা-শালবাদরা রাস্তা প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বনধ সমর্থকেরা। তেমনই ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বর ও কোটাসুর এই দুই জায়গায় সরকারি বাস আটকে রাখেন বনধ সমর্থকেরা। একই ভাবে দুবরাজপুরের গোহালিয়াড়া ও হেতমপুর পঞায়েতে কর্মীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন বনধ সমর্থনকারীরা। প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে। বোলপুর আদালতে বিচারক ও আইনজীবীদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় পুলিশ ১৭ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করে। সকালে আমোদপুর স্টেশনে হাওড়াগামী বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারকে মিনিট পনেরো আটকানোর পর অবশ্য যাত্রীদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেন বনধ সমর্থনকারীরা।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন সাহার দাবি, “বনধ শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। প্রশাসন ও শাসকদলের বিরোধীতা সত্ত্বেও মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন।”

বৃহস্পতিবার ছবিগুলি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, দয়াল সেনগুপ্ত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.