টুকরো খবর
ট্রেন থামিয়ে আহতকে সাহায্য
ছবি: সামসুল হুদা।
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। ট্রেন থামিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষ। পরে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে রেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার তালদি-ক্যানিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকায়। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ওই ব্যক্তি আপ ক্যানিং লোকাল ধরে শিয়ালদহের দিকে আসছিলেন। গেটের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কোনও ভাবে হাত ফসকে পড়ে যান চলন্ত ট্রেন থেকে। ওই দৃশ্য দেখে আশপাশের মানুষ উল্টো দিক থেকে আসা ডাউন ক্যানিং লোকাল ট্রেন থামিয়ে তাতে তুলে দেন জখম ব্যক্তিকে। সেখানে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে পাঠানো হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। স্থানীয় বাসিন্দা বসন্ত মণ্ডল, কার্তিক পাত্রেরা বলেন, “রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে আমরা এগিয়ে আসি। কাছাকাছি কোনও যানবাহন না থাকায় ডাউন ক্যানিং লোকাল থামিয়ে তাতেই তুলে দেওয়া হয় ওঁকে। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। রেল পুলিশের সহায়তায় ওঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।” ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল পুলিশের কর্তারা।

কাকাকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত দুই ভাইপো
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বিবাদকে কাকাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ভাইপোদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতের কেওটালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জামশেদ আলি পাইক (৪৮)। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। বুধবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক। তল্লাশি চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউনুস আলি পাইক ও জামশেদ আলি পাইক দুই ভাই। পাশাপাশি বাস। অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগে জামশেদের বাড়ির চত্বরে থাকা গাছে উঠে আম পাড়ছিলেন ইউনুসের স্ত্রী। তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন জামশেদ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় পর দিন থেকে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ইউনুসের অভিযোগ, আম পাড়ার মিথ্যা অভিযোগে তাঁর স্ত্রীকে নিগৃহীত করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে জখম হন জনা পাঁচেক। অভিযোগ, ইউনুসের এক ছেলে শাবলের ঘা মারে কাকা জামশেদের মাথায়। আর এক জন বুকে লোহার রড দিয়ে ঘা মারে। জামশেদ -সহ বাকি পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানায়, জামশেদের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় এনআরএস-এ। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সেখানেই মারা যান তিনি। খবর গ্রামে পৌঁছতেই ইউনুস ও তাঁর বাড়ি লোকজন পালিয়ে যান।

প্রৌঢ়কে খুন করে লুঠপাট
এক প্রৌঢ়কে খুন করে বাড়িতে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে কাকদ্বীপের কাশীনগর গ্রামে। মৃতের নাম মুকেশ মাইতি (৫০)। তাঁর স্ত্রী অবন্তী মাইতির অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাশীনগর গ্রামেই চায়ের দোকান আছে মুকেশবাবুর। পরিবারের সদস্যেরা জানান, ঘটনার রাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মুকেশবাবু। পাশেই ছিলেন স্ত্রী। অন্য একটি ঘরে ছিলেন দুই মেয়ে ও এক ছেলে। রাত আড়াইটে নাগাদ জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী গোয়ালঘর দিয়ে বাড়িতে ঢোকে। অবন্তীদেবী জানান, দুষ্কৃতীরা প্রথমে তাঁদের ঘরে ঢুকে মুকেশবাবুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। অবন্তীদেবীর চিৎকারে ছুটে আসেন ছেলেমেয়েরা। এরপর তাঁদের একটি ঘরে তালাবন্দি করে রেখে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। তাঁরাই উদ্ধার করেন মুকেশবাবুর পরিবারকে। মুকেশবাবুর ভাইপো দীপঙ্কর মাইতির কথায়, “অন্তত ঘণ্টাখানেক ওই ঘরে আটকে ছিলেন কাকিমারা।” গুরুতর জখম মুকেশবাবুকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।

মাটি খুঁড়ে বধূর দেহ উদ্ধার
প্রায় ছ’মাস নিখোঁজ থাকার পরে মাটি খুঁড়ে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করল সিআইডি। সুরজাহান বিবি (৪২) নামে বারুইপুর পেয়ারাবাগানের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ গত ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেশীর বাগানের মাটি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি সূত্রের খবর, মৃতার স্বামী, শেখ কুদ্দুসের তিনটি বিয়ে। সুরজাহান ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। অন্য দুই স্ত্রী ফতিজা ও সেলিনার সঙ্গে সুরজাহানের অশান্তি লেগেই ছিল। তার পরে ডিসেম্বরে নিখোঁজ হয়ে যান সুরজাহান। গত জানুয়ারিতে এই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। তাদের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, কুদ্দুসের সহযোগিতায় তার অন্য দুই স্ত্রী-ই খুন করে সুরজাহানকে। তার পরে দেহটি পুঁতে দেয় রহমত আলি নামে এক পড়শির বাগানে। ফতিজা ও রহমতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুদ্দুস ও সেলিনার খোঁজ চলছে।

দুই ছিনতাইকারী ধৃত
এক তরুণী ও তাঁর বন্ধুর থেকে সোনার গয়না ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সোনারপুরের দুই যুবক গ্রেফতার হল। বুধবার, বাইপাস থেকে। ধৃতদের নাম বাপ্পা মাঝি ও সুভাষ মাঝি। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বৃহস্পতিবার জানান, বুধবার রাতে বাইপাসের ধারে তিন যুবক ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে ঘিরে ধরে। তরুণীর দুল, মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। তাঁর বন্ধুকে মারধর করে মোবাইল হাতিয়ে নেয়। ধৃতদের থেকে মিলেছে দুল ও একটি মোবাইল। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় আরও এক যুবকের খোঁজ চলছে।

মাধ্যমিকের স্কুল-ভিত্তিক ফল
উত্তর ২৪ পরগনা

হাবরা মডেল হাইস্কুল: পরীক্ষার্থী ১৫৪। উত্তীর্ণ ১২৪। সর্বোচ্চ ৬২৩, বিপ্রজিৎ পাল।
চাতরা নেতাজি বালিকা শিক্ষা নিকেতন: পরীক্ষার্থী ১৭৭। উত্তীর্ণ ১৭৬। সর্বোচ্চ ৬১৫, শিল্পশ্রী সরকার।
কলসুর বালিকা বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ১১৫। উত্তীর্ণ ১০৯। সর্বোচ্চ ৫৯২, অমৃতা বিশ্বাস।
বাণীপুর বাণী নিকেতন: পরীক্ষার্থী ১২৫। উত্তীর্ণ ১১৪। সর্বোচ্চ ৫৬৭, পবিত্র দাস।
হাটথুবা আদর্শ বিদ্যাপীঠ: পরীক্ষার্থী ১২৮। উত্তীর্ণ ১২৭। সর্বোচ্চ ৫৪৯, মধুসূদন পাল।
জয়গাছি শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যায়তন: পরীক্ষার্থী ৫৫। উত্তীর্ণ ৪৬। সর্বোচ্চ ৫৭৩, পাপ্পু রাহা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা

পাথরপ্রতিমা-ব্রজবল্লভপুর পিএমটি শিক্ষা নিকেতন: পরীক্ষার্থী ৯৩। উত্তীর্ণ ৯৩। সর্বোচ্চ ৬১৬, সুকন্যা সাউ।
পাথরপ্রতিমা আনন্দলাল আদর্শ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ১৯৮। উত্তীর্ণ ১৯২। সর্বোচ্চ ৬০৭, দেবদত্ত পয়ড্যা।
জয়নগর ইনস্টিটিউশন: পরীক্ষার্থী ১০৬। উত্তীর্ণ ১০২। সর্বোচ্চ ৫৭৮, প্রণয় পাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.