ক্যানিং-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক পাইক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাসান মোল্লাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। হাসান ওই ব্লকেরই যুব তৃণমূল সভাপতি। বুধবার রাতে সোনারপুরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ৯ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দলীয় নেতাকে খুনের ঘটনায় দলেরই আর এক নেতার ধরা পড়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চৌধুরীমোহন জাটুয়া বলেন, “হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সিআইডি নিশ্চয়ই প্রমাণ পেয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। সিআইডি তদন্তে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” ৩০ মার্চ গভীর রাতে জীবনতলা থানার নাগরতলা গ্রামের বাসিন্দা মানিকবাবুকে ঘুমন্ত অবস্থায় জানলার বাইরে থেকে গুলি করে খুন করা হয়। নিহতের ছেলে মৃদুলবন্ধু পাইক পুলিশের কাছে হাসান-সহ তৃণমূলের সাত জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শাসকদলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ সামনে এলেও তা মানতে চাননি সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বা দলের জেলা চেয়ারম্যান। পরে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন বৈদ্য দাবি করেন, মানিকবাবুকে দলেরই একটি গোষ্ঠী খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। দলের ‘সব স্তরেই’ সে কথা জানানো হয়েছিল। হাসান ছাড়া অভিযুক্ত কাউকে ধরতে পারেনি সিআইডি। হাসান-সহ অভিযুক্তেরা সকলে ক্যানিং-১ ব্লকের দলীয় সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির অনুগামী বলে পরিচিত। গ্রেফতারের প্রসঙ্গে মানিক পাইকের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, “খুনের মূল পাণ্ডাকে সিআইডি ধরেছে। বাকিদেরও ধরা হোক।” শৈবালবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |