ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ফেনসিডিল পাচারের সময়ে পুলিশ ধাওয়া করে গাড়ি আটকাতেই পাচারকারীরা উল্টে চড়াও হয় পুলিশের উপরে। জখম হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। বুধবার সন্ধ্যায় রানি নগরের রাজাপুর গ্রামের ঘটনা। এর পরে পুলিশ ওই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে বলে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও পুলিশ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। |
রাজাপুর গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় সীমান্তের ওই গ্রামে পুলিশ পাচারকারী সন্দেহে একটি গাড়ি আটকাতেই পাচারকারীরা চড়াও হয় পুলিশের উপরে। লাঠি, হাঁসুয়া দিয়ে মহম্মদ আখতার নামে এক পুলিশকর্মীকে কোপায় তারা। পরে রানিনগর ও জলঙ্গির পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় গ্রামে। জলঙ্গির বিধায়ক সিপিএমের আব্দুর রজ্জাক বলেন, “এসডিপিওর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে ভাঙচুর ও মারধর চালিয়েছে গ্রামে। ঘটনার সঙ্গে যোগ নেই এমন অনেক লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” একই অভিযোগ মহকুমা তৃণমূল সভাপতি মোহিত দেবনাথেরও। তিনি বলেন, “পাচারে যুক্ত যারা তাদের পুলিশ গ্রেফতার করুক। কিন্তু নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।” ডোমকলের এসডিপিও দেবর্ষি দত্ত বলেন, “একটি গাড়ি আটকাতে গ্রামবাসীরা চড়াও হন পুলিশের উপরে। এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।” |