সিপিএম প্রধান অপসৃত হাড়দায়
শ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ি ব্লকে তৃণমূলকে চাপে রাখতে সিপিএমের সমর্থন নিয়ে হাড়দা পঞ্চায়েত দখল করল ঝাড়খণ্ডীরা। বৃহস্পতিবার অনাস্থার ভোটাভুটিতে অপসারিত হলেন সিপিএম-প্রধান বিকাশচন্দ্র মণ্ডল। সিপিএমের অবশ্য দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিকাশবাবুকে কিছু দিন আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এলাকায় প্রচারপত্র ছড়িয়ে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় বলেও সিপিএম সূত্রের দাবি।
বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা-প্রস্তাব আনেন পঞ্চায়েতের ৫ ঝাড়খণ্ডী সদস্য। হাড়দা পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১২। এর মধ্যে সিপিএম ৬, ঝাড়খণ্ডী ৫ ও নির্দল ১। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সভাঘরে প্রশাসনের তরফে বেলপাহাড়ির যুগ্ম-বিডিও শুভব্রত চক্রবর্তীর পৌরোহিত্যে অনাস্থার তলবি-সভা বসে। বিকাশবাবু ও এক নির্দল সদস্য সভায় আসেননি। উপস্থিত বাকি ১০ জন সদস্য (সিপিএম-৫ ও ঝাড়খণ্ডী-৫) অনাস্থার পক্ষে ভোট দেওয়ায় বিকাশবাবু প্রধান-পদ থেকে অপসারিত হন। সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল-সম্পাদক উদ্ধব মাহাতোর বক্তব্য, “স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন-তহবিল কার্যত নয়ছয় করছিলেন বিকাশবাবু। দলীয় স্তরের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কিছু দিন আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৃণমূলি-নৈরাজ্য ঠেকাতে ও উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সদস্যরা অনাস্থা সমর্থন করেছেন।” ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার বক্তব্য, “বিকাশবাবুর সীমাহীন দুর্নীতি ও তৃণমূলের সন্ত্রাসে এলাকাবাসী তিতিবিরক্ত। সম্ভবত সেটা আঁচ করেই সিপিএম সদস্যরা আমাদের সদস্যদের অনাস্থা-প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। আমরা কিন্তু সিপিএমের কাছে সমর্থন চাইনি।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষের বক্তব্য, “মাওবাদী-ঝাড়খণ্ডী জোটকে ব্যবহার করে সিপিএম বেলপাহাড়িতে আমাদের কোণঠাসা করতে চাইলেও মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।” বেলপাহাড়ি ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখন হাড়দা-সহ ৯টিই ঝাড়খণ্ডী জোটের দখলে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাড়দা, সন্দাপাড়া ও শিলদা পঞ্চায়েত তিনটি দখল করেছিল সিপিএম। দু’বছর আগে সন্দাপাড়ার সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ওই পঞ্চায়েতটিও দখল করে নেয় ঝাড়খণ্ডীরা। কেবলমাত্র শিলদা পঞ্চায়েতটি এখনও সিপিএমের দখলে রয়েছে। গত এপ্রিলে সিপিএম সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি-ও দখল করেছে ঝাড়খণ্ডীরা। তবে সেখানে ঝাড়খণ্ডীদের নিজেদের মধ্যেও কোন্দল রয়েছে। এমনকী এক কর্মাধ্যক্ষ সম্প্রতি চুনিবালার কাছে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠিও দিয়েছেন বলে খবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.