টোলগে ওজবের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল না ইস্টবেঙ্গল। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারকে শাস্তি দেওয়ার রাস্তায় আপাতত হাঁটতেও চাইছেন না লাল-হলুদ কর্তারা।
বরং আই এফ এ-র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির পাঠানো চিঠি পেয়ে ‘সন্তুষ্ট’ হয়ে আরও কিছু কাগজপত্র জোগাড় করে তা পাঠানোর চেষ্টা শুরু হল। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার এ দিন দাবি করলেন, “কে বলল টোলগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন ৩১ মে শেষ হয়ে গেল? ওঁর সঙ্গে তো আমাদের চুক্তি ৩১ মে ২০১৩ পর্যন্ত। কিছু যদি করি তা হলে তো যে কোনও সময় করতে পারি।” কিন্তু ঘটনা হল, নতুন মরসুমের অগ্রিমের ভাউচার ও টোকেন জমা দিলেও টোলগের সঙ্গে কোনও চুক্তি এখনও আই এফ এ-তে জমা দেয়নি ইস্টবেঙ্গল।
টোলগেকে শো কজ করে তিন বার ক্লাবে আসার চিঠি পাঠালেও অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার পুরানো ক্লাবকে গুরুত্বই দেননি। আসেনওনি। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আলোচনা করে ঠিক করেছিলেন আই এফ এ-র চিঠি আসার পর যা করার করবেন। ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত এবং সহ সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেও দিয়েছিলেন, “৩১-মের মধ্যেই যা করার করা হবে।” এখন অবশ্য শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। এ দিন রাজ্য সংস্থা যে চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে পাঠিয়েছে তাতে নতুন কিছু নেই। নেই কোনও প্রতিশ্রুতিও।
আসলে বিদেশি টোলগেকে নিয়ে ফিফার কোপে পড়ার ভয়ে ভীত সবাই। আই এফ এ-র মতো ইস্টবেঙ্গলও কোনও ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। আপাতত দু’পক্ষই সময় নষ্ট করতে চাইছে। তাকিয়ে আছে ফিফার দিকে।
এ দিকে, দুই ফুটবলারকে দলে নিল প্রয়াগ ইউনাইটেড। মোহনবাগান গোলকিপার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায় এবং পুণের লেস্টার ফার্নান্ডেজ যোগ দিলেন প্রয়াগ-এ। টানা ছয় বছর মোহনবাগান জার্সি পরে খেলেছেন, অধিনায়কত্বও করেছেন সংগ্রাম। এ দিন সই করার পর বললেন, “আমি গতবার যথেষ্ট ভাল খেলেছিলাম। হয়তো আমার চেয়েও কাউকে ভাল পেয়েছে বলেই নিয়েছে। তবে কলকাতা ছাড়তে হল না বলে ভাল লাগছে। সুযোগ পেয়ে সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করব।” প্রয়াগ ছেড়ে দিল তাদের তিন বিদেশি ইয়াকুবু, জোসিমার এবং কেন ভিনসেন্টকে। |