‘সুইচ হিট’-এর মতোই আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেভিন পিটারসেন বিতর্কের ঝড় তুলে দিলেন ক্রিকেটবিশ্বে। বৃহস্পতিবার আচমকাই ইংরেজ ক্রিকেটার ঘোষণা করে বসলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক বা টি-টোয়েন্টিতে আর খেলবেন না তিনি। যার নেপথ্যে থাকছে বোর্ডের নির্বাচননীতি।
পিটারসেন চেয়েছিলেন টেস্ট বাদে দেশের হয়ে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে। কারণ, তাতে আইপিএলের আগাম প্রস্তুতি হয়ে থাকবে। ওয়ান ডে থেকে অবসর নিতে চাইছিলেন। কিন্তু দেশের বোর্ড পরিষ্কার জানিয়ে দিল, খেললে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি দু’টোই খেলতে হবে। নইলে একটাও নয়। আর বোর্ড নিজেদের নীতি নিয়ে এতটাই কড়া যে, আগামী সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেশের সেরা ব্যাটসম্যানকে বাইরে রাখতে দু’বার ভাবছে না। পিটারসেনও সুর নরম করা দূরে থাক, উল্টে বোর্ডের নীতির বিরুদ্ধে একপ্রকার জেহাদ ঘোষণা করে দু’ধরনের ক্রিকেট থেকেই সরে গেলেন।
যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক বেঁধেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটমহলে। প্রশ্ন উঠছে, নিজের পছন্দমতো ফর্ম্যাট বেছে নেওয়ার অধিকার কি একজন ক্রিকেটারের আছে? নাকি বোর্ডের নীতিই শেষ কথা?
বৃহস্পতিবারই সরকারি ভাবে পিটারসেন জানিয়ে দিয়েছেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। জানিয়ে দিয়েছেন, একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার ধকল তাঁর শরীর আর নিতে পারছে না। তাই সরে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু দেশের হয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে রাজি ছিলেন, যদি না বোর্ডের নির্বাচননীতি বাদ সাধত। পিটারসেন বলছেন, “অনেক ভেবেচিন্তেই আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমার বয়স প্রায় বত্রিশ এখন। মনে হয় এটাই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর। তরুণ ক্রিকেটাররা তা হলে উঠে আসতে পারবে।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “নির্বাচন পদ্ধতি যদি বাদ না সাধত, আমি দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে রাজি ছিলাম। আশা করছি, দেশের টেস্ট টিমে আমাকে ভাবা হবে।” পিটারসেনের সিদ্ধান্ত দেখে অবাক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। গুরগাঁও-তে বলেছেন, “খবরটা অবাক করে দিয়েছে আমাকে। ও দুর্দান্ত ক্রিকেটার। ওর ব্যাটিং দেখতে আমার খুবই ভাল লাগে। আশা করি ও টেস্ট খেলবে।” |