পঞ্চম আইপিএলে মাঠে যত না নাটক হয়েছে, তার চেয়ে কিছু কম হয়নি মাঠের বাইরে। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে শুরু করে শ্লীলতাহানির ঘটনা। যার জেরে আইপিএল বন্ধের দাবিও উঠে পড়েছে। কিন্তু এ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক সব কিছুতেই আইপিএল কমিটি এবং ভারতীয় বোর্ডের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। গৌতম গম্ভীরের সাফ কথা, এ সব বিতর্ক থামাতে হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরই কড়া হতে হবে। বোর্ড বা আইপিএল কমিটির বিশেষ কিছু করার নেই এ সব ক্ষেত্রে।
কিন্তু আইপিএল নিষিদ্ধ করার জন্য কীর্তি আজাদের মতো সাংসদরা যে দাবি তুলছেন, সে সম্পর্কে কী বলবেন? গম্ভীরের সাফ কথা, “আমি নিশ্চিত, আইপিএল ছাড়া সংসদে অন্য অনেক বিষয় আছে আলোচনা করার।”
যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে গম্ভীরের সাফ কথা, “ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরই এ সব ব্যাপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদি কোনও প্লেয়ার শৃঙ্খলাভঙ্গ করে, তা হলে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। নিজেদের ক্রিকেটারকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই করতে হবে। বোর্ডের পক্ষে সম্ভব নয়, সমস্ত প্লেয়ারের উপর নজর রাখার জন্য কাউকে নিয়োগ করা।”
এ বারের আইপিএলে এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর লিউক পোমার্সব্যাচের বিরুদ্ধে। এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এর আগেও মদ্যপ হয়ে ঝামেলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। কারও নাম না করে গম্ভীর এ বার বলছেন, “কোনও প্লেয়ারের বিরুদ্ধে যদি অতীতে ঝামেলায় জড়ানোর অভিযোগ থাকে, তা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উচিত, তার বিরুদ্ধে কার্ফিউ জারি করা। যাতে নির্দিষ্ট সময়ে সেই সব প্লেয়ার নিজেদের ঘরে চলে যায়।”
উঠে আসে কেকেআর প্রসঙ্গও। গম্ভীর বলছেন, “গত তিন বছর ধরে কেকেআর বেশি খবরে ছিল মাঠের বাইরের ঘটনার জন্য। সেটা আমি বদলাতে চেয়েছিলাম।” তবে গম্ভীর স্বীকার করেছেন, একটা জিনিস তিনি দলের জন্য করতে পারেননি। “আমি শুধু নাচতে পারিনি। শাহরুখ সব ব্যাপারেই সফল হয়েছে। শুধু আমাকে নাচাতে পারেনি! আশা করব, ও সেটা করার আর চেষ্টাও করবে না,” বলেছেন কেকেআর অধিনায়ক। |