আইপিএল ফাইনালে চেন্নাইকে হারানোর মাসুল এ বার গুনতে হচ্ছে কলকাতাকে! পুজোর আগে ইডেনে নাইটদের ফের খেলতে দেখার যে কথা ছিল, তার পাশে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে দিল চেন্নাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আপত্তি তুলে। যে সিদ্ধান্তের ফলে ইডেনে নাইটদের ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
গত সোমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে চেন্নাই জানিয়ে দিয়েছে, অক্টোবর মাসে চেন্নাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ করা সম্ভব নয়। কারণ তখন সেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা। যা শোনার পর কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, এটা নেহাতই কথার কথা। আসল ব্যাপার হচ্ছে, ফাইনালে উঠেও আইপিএল হাতছাড়া হয়েছে বলে চেন্নাই রাগ মেটাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উপর। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখিয়ে বলা হচ্ছে ম্যাচ করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠছে, গত বছর অক্টোবরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হয়েছে চেন্নাইয়ে। তখন বৃষ্টি কোথায় ছিল?
কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে চেন্নাইয়ের আপত্তি এবং দিল্লির ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা— দুইয়ে মিলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেশের বাইরে চলে যাওয়ারই সম্ভাবনা উঠেছে। ঘটনা প্রবাহ যে দিকে, তাতে বিকল্প ‘ভেনু’ খুঁজে না পাওয়া গেলে ম্যাচ চলে যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায়। চেন্নাই, দিল্লি এবং কলকাতা— এই তিন জায়গায় চ্যাম্পিয়ন্স হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরে। দিল্লির বক্তব্য, কোটলায় ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে যেমন রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে, তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিও প্রয়োজন। মাসখানেকের আগে নিশ্চিত করে তাই কিছু বলা যাবে না। ইডেনের সমস্যা, টুর্নামেন্ট পড়েছে পুজোর মুখে। ২০ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু হচ্ছে। পুলিশি অনুমতি পেতে হলে পুজোর অন্তত তিন দিন আগে শেষ করতে হবে টুর্নামেন্ট।
এ বারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনও পাকিস্তানের টিমের খেলতে আসার কথা ছিল। শোয়েব মালিকের শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সকে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সবুজ-সঙ্কেতও দিয়েছিল বোর্ড। মনে করা হচ্ছিল, মালিকরা থাকায় এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিআরপি এমনিই বাড়ত। সঙ্গে থাকত আইপিল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। রানার্স চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এবং চতুর্থ ভারতীয় টিম হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যাদেরও কি না জুড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে, টুর্নামেন্টের নীলনকশা ঠিক করার বদলে এখন বিকল্প ‘ভেনু’ খুঁজতে হচ্ছে গভর্নিং কাউন্সিলকে।
প্রথমে মুম্বইকে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, শাহরুখ-বিতর্কের পর ওয়াংখেড়েতে খেলা নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে কেকেআরের। জুনের মাঝামাঝি আবার বৈঠকে বসছে গভর্নিং কাউন্সিল। যাদের হাতে পড়ে এখন দু’টো বিকল্প। মোহালি বা ধরমশালার মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়া। আর হায়দরাবাদ। কিন্তু এক্ষেত্রে মুশকিল, এদের কারওরই আবার ঘরের টিম নেই। তাই তাদের শেষ পর্যন্ত রাজি করানো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। সেক্ষেত্রে একটাই রাস্তা খোলা। উদ্বোধনী সংস্করণের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে ফের দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া। |