আদিবাসী-অত্যাচার রোধে প্রচারে জোর
দিবাসীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নতুন নয়। কখনও তাঁদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। কখনও বা জোর করে কাজ করানোর। এমন ঘটনা এড়াতে ‘তৎপর’ হল রাজ্য সরকার। সরকারের মতে, এ ক্ষেত্রে আদিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তাই প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করলে কী শাস্তি হতে পারে, নির্যাতিত আদিবাসী কী ভাবে সরকারি সাহায্য পাবেন, প্রচারপত্র বিলি করে তা জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফ্লেক্সেও প্রচার চলবে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেমন থানা, বিডিও অফিস, বাজার প্রভৃতি জায়গায় এই ফ্লেক্স টাঙানো হবে। এর ফলে সকলের কাছেই প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে প্রায় ২৫ হাজার প্রচারপত্র বিলি হয়েছে। ব্লক অফিস মারফৎ বিলি করা হয়েছে প্রচারপত্রগুলি। প্রায় ৮০টি ফ্লেক্স তৈরির তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতরের উদ্যোগেই এই প্রচার শুরু হয়েছে। দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “ব্লকে ব্লকে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। ফ্লেক্স তৈরি করেও প্রচার চলবে।” তাঁর কথায়, “আমাদের দেশে অস্পৃশ্যতা আইন করেই বিলোপ করা হয়েছে। প্রচারে এই বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে। এ ক্ষেত্রে আদিবাসী মানুষদের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে এমন ঘটনার সংখ্যাও কমবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ সাধারণত কী ধরনের অত্যাচারের শিকার হন, অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতরের বিলি করা প্রচারপত্রে তা-ও রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘তফসিলি জাতি-উপজাতি (বর্বরতা প্রতিরোধ) আইন ১৯৮৯-এর ধারা অনুসারে অত্যাচার, বর্বরতা প্রতিবিধানে ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করতে পারেন।’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে আদিবাসী মানুষের বসবাস বেশি। তাই প্রচারে জঙ্গলমহলকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঠিক কী ধরনের অত্যাচারের শিকার হন আদিবাসী মানুষজন? অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “জোর করে ‘বেগার’ খাটানো, অন্যায় ভাবে জমি-বাড়ি থেকে উৎখাত করার অভিযোগ ওঠে। কোনও প্রকাশ্য স্থানে যাওয়ার স্বাভাবিক অধিকারকে খর্ব করার মতো অভিযোগও রয়েছে।” তাঁর কথায়, “দফতরে এমন অভিযোগ এলে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়। তবে, এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। মানুষ সচেতন হলে ‘অত্যাচারী’রাও ভয় পাবে।” অনেক সময় আবার বল-প্রয়োগ করে বা ভয় দেখিয়ে ভোটদানে প্রভাবিত করা, মিথ্যা-বিদ্বেষপূর্ণ এবং সাজানো মামলায় ফাঁসানো, শ্লীলতাহানি এবং মহিলাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এমন অভিযোগ কোথায় জানানো যেতে পারে, প্রচারপত্রে তার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘অত্যাচারিত, নির্যাতিত ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা ও অন্য সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। এ ব্যাপারে যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর দায়িত্বে অবহেলা করেন, তবে আইন মোতাবেক তাঁর এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।’ এই প্রচারে আদিবাসী মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে, কমবে অত্যাচারের ঘটনাএমনটাই আশা প্রশাসনের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.