ভারতের উচিত শক্তির চাহিদা মেটাতে এমন উৎস খোঁজা যা নির্ভরযোগ্য। আজ নয়াদিল্লির উদ্দেশে এই বার্তা দিল তেহরান। বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণকে পাশে নিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি এ কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, তেল নিয়ে একমাত্র ইরানের উপরেই ভরসা করতে পারে ভারত। এস এম কৃষ্ণও জানিয়ে দিয়েছেন, তেলের উৎস হিসাবে ইরানের গুরুত্ব থেকেই যাবে।
তেল কূটনীতির প্রশ্নে ইরানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছে ভারতের। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন এসে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে গিয়েছেন, আমেরিকা চায় না ইরান থেকে তেল আমদানি করুক ভারত। তাঁর বক্তব্য, পরমাণু কমর্সূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে তেহরানকে বসানো যাবে তখনই যখন গোটা বিশ্ব তাদের উপরে চাপ তৈরি করবে। এই চাপ তৈরির প্রশ্নে ওয়াশিংটন যে ভারতকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখতে চায় সে কথাও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে জানিয়েছিলেন হিলারি। ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইরান ছাড়াও অন্য দেশ থেকে তেল আমদানির উপর জোর দিচ্ছে ভারত। কিন্তু ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না তারা। অগস্টে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলির সম্মেলনে মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সালেহি। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে কৃষ্ণ বলেছেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ যে প্রস্তাব এনেছিল তা ভারত সমর্থন করেছে। অন্য নিষেধাজ্ঞাগুলি একপাক্ষিক ভাবে বা আঞ্চলিক ভাবে নেওয়া হয়েছে।” তাঁর কথায়,“কোনও দেশের বাণিজ্য স্বার্থ যেন বিঘ্নিত না হয় সেটাও দেখতে হবে।” ভারত যে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানির কথা ভাবছে তা গোপন করেননি কৃষ্ণ। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত তেল আমদানির ক্ষেত্রে ইরানই প্রধান উৎস। |