কৃষি দফতরে আজ থেকে বিশেষ নজরদারি হাজিরায় |
সরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অঙ্গ হিসেবে মহাকরণে কৃষি দফতরের হাজিরা খাতায় নজর রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। হাজিরায় নজরদারির এই নয়া নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে আজ, শুক্রবার থেকেই।
নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব সরকারি দফতরে কাজ করার কথা। মাঝখানে আধ ঘণ্টার বিরতি। সকাল সওয়া ১০টা থেকে থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে হাজিরা খাতায় সই করলে ‘লেট মার্ক’ পড়ে। পাঁচটি লেট মার্কে এক দিনের ‘সিএল’ বা অর্জিত ছুটি কাটার কথা। ১০টা ৪৫ মিনিটের পরে অফিসে ঢুকলে হাজিরা খাতায় সই করতে দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু মহাকরণের কর্মীদের একটা বড় অংশ আসেন অনেক দেরিতে। আবার বেরিয়েও যান তাড়াতাড়ি। হাজিরা খাতায় নজরদারির নির্দেশ থাকলেও তা বিশেষ মানা হয় না।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মহাকরণে কর্মী-নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে কর্মসংস্কৃতি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। কয়েক মাস আগে তিনি জানিয়েছিলেন, হাজিরা-পরিস্থিতির উন্নতি না-হলে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালু হতে পারে। পরবর্তী কালে স্বাস্থ্য ভবনে চালুও হয়েছে সেই ব্যবস্থা। কিন্তু অন্যত্র, বিশেষত রাজ্য প্রশাসনের সদর মহাকরণে হাজির এবং অফিস ছেড়ে যাওয়ার ছবিটা এখনও বিশেষ বদলায়নি। এই পরিস্থিতিতেই কৃষি দফতরে হাজিরায় নজর রাখার জন্য নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
হাজিরার সময় নিয়ে ২০০৯-এর ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের অর্থ দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তার ভিত্তিতে মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। কৃষি অধিকর্তার জারি করা সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে তার উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, দফতরের বিভাগীয় অফিসারেরা কর্মীদের হাজিরার উপরে নজর রাখবেন।
প্রকাশ্য বিরোধিতার পথে না-হাঁটলেও তৃণমূলপন্থী ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের রাজ্য কো-অর্ডিনটর পার্থ চট্টোপাধ্যায় নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাননি। তিনি বলেন, “প্রশাসন ও কর্মী উভয় পক্ষের বোঝাপড়ার উপরেই হাজিরার ব্যাপারটা নির্ভর করে।” সম্প্রতি মহাকরণের কৃষি দফতরে বহিরাগতদের উপস্থিতির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তারও বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছে কর্মী সংগঠন। |