ভাগ্নের চালে কিস্তি মাত! মামা টিকিট পেলেও বাদ পড়েছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান সত্যরঞ্জন ঘোষ। ভোট প্রচারে এমনটাই ফিসফিসানি চলছে। ভাগ্নে হলেন সিপিএমের ধূপগুড়ি জোনাল কমিটি সম্পাদক তুষার বসু। মামা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাদল সরকার। বিভিন্ন মহলে কথা উঠেছে ভোটে দল জিতলে বাদল সরকারকে চেয়ারম্যান করার পথের বাঁধা দূর করতে প্রভাব খাটিয়ে সত্যবাবুকে টিকিট না দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন তুষারবাবু। যদিও প্রচারের ময়দানে ঘুরে বেড়ানো ওই কথাকে খুব একটা আমল দিচ্ছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। তুষারবাবু বলেন, “সত্যবাবু দলের লোকাল কমিটির সম্পাদক। দল তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে। তা ছাড়া আমাদের দলে চেয়ারম্যান প্রোজেক্ট করে লড়াই হয় না। ভোটে জেতার পরে নেতা ঠিক হয়।” সত্যবাবু বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটাই পালন করছি। এ সব নিয়ে এত কথা কেন উঠছে!”
|
বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান তথা সিপিএম প্রার্থী বাদল সরকারের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় অংশে টাইম কল আছে। কিন্তু জল পড়ে না। তা নিয়ে বাসিন্দাদের বিস্তর ক্ষোভ। ওই ক্ষোভ কাজে লাগাতে প্রচারে জল ইস্যু করেছে তৃণমূল। দলের তরফে প্রচার করা হয়েছে, আশ্বাস দেওয়া হলেও এলাকায় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা না-করে সিপিএম বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “রেল লাইনের নীচ দিয়ে জলের পাইপ নেওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। রেল অনুমতি না দেওয়ায় জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তাই এখানে পুরসভার ব্যর্থতার কিছু নেই।”
|
কয়েকদিন পরে পুরভোট! দিন ভর বাড়ির সামনে বাঁশের মাচায় বসে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করে সময় কাটাচ্ছেন ধূপগুড়ির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত রায়। গত পুরভোটের এক সপ্তাহ আগে বিশ্রাম নেবার ফুসরত মেলেনি তাঁর। এ বার ভিন্ন ছবি। সদস্যপদ নবীকরণ করাননি। ভোট প্রচারে যখন দলের কর্মীদের ঘুম উড়েছে তখন জলঢাকা নদী পাড়ের বাড়ি থেকে বিভিন্ন দলের প্রচারের খুঁটিনাটি খবর নিয়ে চুপচাপ বসে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
|
এ বার পুরবোর্ড কে দখল করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বেটিং। বাজির বাজারে সিপিএম এবং তৃণমূল সমান তালে এগিয়ে। এ বার কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট হয়নি। জোটে নেই বিজেপি। তাই ভোট কাটাকুটির সুযোগে সিপিএম ক্ষমতায় ফিরবে। অন্য দিকের যুক্তি পরিবর্তনের জোয়ারে ধূপগুড়ি পুরসভাও এ বার ভাসবে। তৃণমূলের ‘হাইটেক’ প্রচারের ধারেপাশে দাঁড়াতে পারছে না সিপিএম। ফলে প্রভাব পড়বে।
|
মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১৬টা ওয়ার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। গত সাত দিনে ২৭টি সভা করেছেন তিনি। পুরবোর্ড দখলের একরোখা জেদ নিয়ে পদযাত্রায় হাঁটছেন। নেত্রীর ছবিতে ভরে দিয়েছেন গোটা এলাকা। |