১০০ দিনের প্রকল্পে জবকার্ড ও পাশবই আটকে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দুই নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ বার সরব হলেন পাত্রসায়র ব্লকের বীজপুর, ভেটিয়া ও কাটোরা গ্রামের শ্রমিকরা। গত মঙ্গলবার পাত্রসায়রের বিডিও-র কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার ওই এলাকার বেশকিছু শ্রমিক পাত্রসায়র ব্লক অফিসে গিয়ে তদন্তে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা যুগ্ম বিডিও-র কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বীজপুর গ্রামের বাসিন্দা নব বাগদি, অভয়কুমার খাঁ, মাধব বাগদিদের অভিযোগ, “আটদিন আগে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও জবকার্ড, পাশবই ফেরত পায়নি, কাজ করে টাকাও পায়নি। আমরা অথচ প্রশাসন তদন্তে গড়িমসি করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।” যুগ্ম বিডিও সমীরণকৃষ্ণ মণ্ডল অবশ্য তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গিয়ে সরজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের বীজপুর, ভেটিয়া ও কাটোরা গ্রামে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে পুকুর খননের কাজ হয়েছে। ওই কাজের শ্রমিকদের জবকার্ড ও পাশবই আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা আশিস পাত্র এবং বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সুবিমান ঘোষের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অদীপ রায়ের কাছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ওই দুই তৃণমূল নেতা স্নেহেশবাবুর বিরোধী শিবিরের বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে ওই দুই নেতার দাবি। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, “স্নেহেশবাবুর মদতেই এ সব করানো হচ্ছে।” স্নেহেশবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ব্লক প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। দোষীরা শাস্তি পাক।” |