‘প্রতারণা’, পুলিশকর্মী সিআইডি হেফাজতে
ঙ্গলমহলে জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার চক্রে যুক্ত সন্দেহে ধৃত ঝাড়গ্রামের এএসআই বাসুদেব সিংহকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। শুক্রবারই ওই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবার তাঁকে হাজির করা হয় মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে। আরও জেরা এবং তোলার অর্থের সন্ধানে ধৃতকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় সিআইডি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক তনিমা দাস ৭ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করে ধৃতকে আগামী ২ জুন ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
সিআইডি-র দাবি, ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার রিজার্ভ অফিসের কর্মী বাসুদেববাবু জুনিয়র কনস্টেবল পদ-প্রার্থীদের নামের তালিকা কম্পিউটারে নথিভুক্ত করায় যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই নামের তালিকার একটি প্রতিলিপি তিনি হস্তগত করেন। সেটি তিনি টাকা তোলা চক্রের আরও এক পাণ্ডা অনুপ পট্টনায়ককে দেন। চক্রের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেনামে কেনা মোবাইলের দু’টি সিম-কার্ডও তিনি ব্যবহার করতেন। চলতি মাসের গোড়ায় সাঁকরাইলের দিলীপ সিংহ নামে এক যুবক পুলিশে অভিযোগ করেন, জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। ওই পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পরে মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন দিলীপ। তার পরেই এক ব্যক্তি তাঁকে ফোনে জানান, মৌখিক পরীক্ষায় তাঁর যা নম্বর, তাতে চাকরি পাওয়া অসম্ভব। তবে দেড় লক্ষ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। গত ৯ মে রাতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে খড়্গপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় যান দিলীপ। ফাঁদ পেতে মিহির রাণা ও অনুপ পট্টনায়ক নামে দু’জনকে ধরে পুলিশ। তাঁরা আপাতত জেলে। সিআইডি-র দাবি, ওই দু’জনকে জেরা করেই তারা জানতে পারে, মৌখিক পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছেন, তার তালিকা বাসুদেববাবুই তাঁদের দিয়েছেন। গত ১১ মে কলকাতার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠিয়ে বাসুদেববাবুকে এক দফা জেরা করেন গোয়েন্দারা। দুষ্টচক্রে ওই পুলিশকর্মীর যোগাযোগ সম্পর্কে ‘নিশ্চিত’ হয়েই শুক্রবার তাঁকে ধরা হয়।

পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্ক
উড়ো ফোনে বোমাতঙ্ক ছড়াল দিঘা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি-গামী পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ট্রেনটি নন্দকুমার ছাড়ার পরেই তাঁর মোবাইল ফোনে কেউ এক জন এস-১, এস-২ কামরায় বোমা থাকা সম্পর্কে সতর্ক করে বলে জানিয়েছেন আরপিএফের ওসি কমলকান্তি শাসমল। ট্রেনটি তমলুকে পোঁছতেই ওই দুই কামরা এবং এস-৩ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে আরপিএফ ও তমলুক থানার পুলিশ। পুলিশ-কুকুরও আনা হয়। ঘণ্টা দু’য়েকের তল্লাশিতে অবশ্য সন্দেহজনক কিছুই মেলেনি। রাত ৮টার পরে ট্রেনটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়। ফোনের নম্বরের সূত্র ধরে কে বা কারা, কেন আতঙ্ক ছড়াল, তার তদন্ত করছে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.