একটি মৃতদেহ। আর তাকে ঘিরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ রকমই দেখতে অভ্যস্ত শহর। কিন্তু শুক্রবার বাগবাজারের রাজবল্লভপাড়ায়, গিরিশ অ্যাভিনিউয়ের উপরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেন একটি গাছের ‘মৃতদেহ’কে ঘিরে।
এ দিন সকালে বাগবাজারে একটি বয়স্ক দেবদারু গাছ কেটে ফেলা হয়। সেটিকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছের ডাল কেটে রাস্তার এক ধারে নিয়ে আসার ফলে রাস্তার অপর ধার দিয়েই সব গাড়ি চালাতে হয়। যার জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল। এর জেরে গিরিশ অ্যাভিনিউ এবং সংলগ্ন এলাকায় যানজটে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ দিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরে মোটা গাছটি পড়ে রয়েছে। চারপাশে ডালপালা ছড়ানো। স্থানীয় বাসিন্দা মালা হালদার, রাজু দাসদের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর পার্থ মিত্রের মদতেই ওই গাছ কাটা হয়েছে। |
পড়ে আছে কাটা গাছ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র |
যদিও পার্থবাবু ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কেন এই বিক্ষোভ? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই গাছটি দীর্ঘ দিন আগে তাঁরাই লাগিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিন কোনও সরকারি নির্দেশ ছাড়াই গাছটি কেটে ফেলা হয়। উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, দেবদারু গাছের কাঠ খুব দামি নয়। কাঠ চুরির জন্য এ ধরনের গাছ কাটা হয় না।
কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ মিত্রের দাবি, “ওই গাছ কাটার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ওই গাছ কাটার ব্যাপারে মৌখিক বা লিখিত সম্মতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তা ছাড়া, মৌখিক নির্দেশে গাছ কাটা যায় না, লিখিত ভাবে পুরসভাকে জানাতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “কাশী মিত্র শ্মশান ঘাটে বড় গাছ পড়ে ডোমেদের ঘর নষ্ট হচ্ছিল। সেই গাছগুলি কাটার ব্যাপারে লিখিত ভাবে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। সেই গাছ কাটারই কথা ছিল।” পাঁচটি চারাগাছ এনে ওই দেবদারু গাছের জায়গায় রোপণ করা হবে বলেও পার্থবাবু জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই গাছটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগের কথাও তিনি জানেন। তাই কখনওই এ ধরনের কাজে তিনি অনুমতি দেবেন না।
এর পাশাপাশি, গাছ কাটার ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “খবর পেয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তবে নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।” পার্থবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দেবাশিস কুমার বলেন, “মনে হয় না এমন অনুমতি তিনি দেবেন।” |
হাতির মৃতদেহ মিলল দলমোড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বীরাপাড়া |
জঙ্গল সংলগ্ন নদীর ধার থেকে পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার সকালে বীরপাড়া থানা এলাকার দলমোড় জঙ্গলের পাশে সুরতিখোলা নদীর পাশে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “বার্ধক্যজনিত কারণে হাতিটি মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।” জলদাপাড়ার পশু চিকিৎসক অশোক কুমার সিংহ বলেন, “বয়সের কারণে দেহের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ না করায় হাতিটি মারা যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে।” |