বাড়ির কাছেই খুন বাস্তুকার
তদন্তে নামল সিআইডি দল
হিন্দুস্থান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কালীঝোরা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ সিংহ (৩০) খুনের কিনারা করতে নামল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সিআইডির একটি দল কালীঝোরা প্রকল্পের অফিসে যায়। শালুগাড়াতে ওই সংস্থার একটি অফিস রয়েছে। সেখানে গিয়ে কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। মঙ্গলবার অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৮টা নাগাদ ভক্তিনগর থানার দেবী চৌধুরাণী রোডে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তার পরে তিন দিন কেটে গেলেও দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায়, ভক্তিনগর জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এদিন ডিওয়াইএফআই এবং পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ভক্তিনগর থানার ওসিকে স্মারকলিপি দিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “ঘটনার তদন্তে বিভিন্ন দিক উঠে আসছে। কিছু সূত্র আমরা পেয়েছি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যাবে।” পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতির ডাবগ্রাম লোকাল কমিটির নেত্রী কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস বলেন, “একজন ইঞ্জিনিয়ার সন্ধ্যা রাতে খুন হয়ে গিয়েছে। গত তিন মাসে একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীকে খুন করে ছিনতাই সহ একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। গোটা এলাকায় মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। দুষ্কৃতীদের যাতে দ্রুত গ্রেফতার করা হয় সে দাবি আমরা জানিয়েছি। ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” এদিকে, ওই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতেই শালুগাড়ার বাড়ি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের বালুয়ায় চলে যান। তাঁরা সেখানকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অমরনাথ সিংহের সঙ্গে নিহতের পরিবারের আত্মীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, “গোটা পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখানে থাকলে দুষ্কৃতীরা হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই মঙ্গলবার রাতেই এখানকার বাড়ি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে চলে যান। পুলিশ এখনও দুষ্কৃতীদের চিহ্ন্তি করতে না পারায় আমরা উদ্বিগ্ন।” পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে পুলিশ ‘এইচসিসি’র কালীঝোরার অফিসের কর্মীদের কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তা ছাড়া ওই দিন রাতে সংস্থার গাড়িতে নিহতের সঙ্গে তাঁর যে সব সহকর্মী ছিলেন তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতেও পুলিশের হাতে স্পষ্ট কোনও প্রমাণ না আসায় এদিন সিআইডি দল তদন্তে নামে। সিআইডির এক ডিএসপি’র নেতৃত্বে সাত জনের দল ঘটনার তদন্তে শালুগাড়া ও কালীঝোরায় যান। তাঁরা নিহতের পরিবারের বাড়িতে গেলেও কারও দেখা পাননি। প্রয়োজনে পুলিশ ও সিআইডির একটি দল উত্তরপ্রদেশেও যেতে পারে। জলপাইগুড়ি পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্তে করছে। পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে। যাতে তদন্তে দ্রুত অগ্রগতি হয় সে জন্য দুটি সংস্থা পাশাপাশি কাজ করছে।” এদিন ধর্মঘট থেকে পিছিয়ে গিয়ে কালীঝোরার প্রকল্পের কাজে যোগ দেন কর্মীরা। ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়ান হিন্দুস্থান কনস্ট্রাকশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক সুনীল সরকার বলেন, “পুলিশ কর্তৃপক্ষ দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। তদন্তে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.