|
|
|
|
বিদ্যাসাগর পুরস্কার |
অ্যাকাডেমি-বিবৃতি, মনোনীতের চিঠিতে বিতর্কে নয়া মাত্রা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিদ্যাসাগর পুরস্কার বিতর্ক বৃহস্পতিবার বড় মাত্রা পেল।
এক দিকে সরকারকে চিঠি দিয়ে পুরস্কারের জন্য মনোনীত অধ্যাপক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, যত দিন না পুরস্কার প্রাপক বাছাইয়ের পদ্ধতিগত দিকটি স্বচ্ছ হচ্ছে, তত দিন যেন ২০১২ সালের বিদ্যাসাগর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়। আর তা না হলে, তাঁকে ওই পুরস্কার নেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। অন্য দিকে, বাংলা অ্যাকাডেমির কার্যকরী পরিষদ এক লিখিত বিবৃতিতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচনা করল অ্যাকাডেমি সভাপতি মহাশ্বেতা দেবীর ভূমিকার। কবি শঙ্খ ঘোষও এ দিন মহাশ্বেতা দেবীর ভূমিকার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তবে, মহাশ্বেতা দেবীর তরফ থেকে এ দিন কোনও বিষয়েই কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে বা তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জয় ভদ্রকে ফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। মহাকরণের দাবি, মহাশ্বেতা দেবী বুধবার অ্যাকাডেমির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা বললেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারের কাছে তেমন কোনও চিঠি জমা পড়েনি।
এ দিন সকালে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে পুরস্কার বিতর্কে তাঁর মতামত জানান শিবাজীবাবু। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “নির্বাচকসমিতির সুপারিশ ও সরকারি ফয়সালার ফারাক নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত বিব্রত। কেবল ‘বিব্রত’ বললে দায়সারা ভব্যতা হয়অবাঞ্ছিত এ কাণ্ডে আমি যুগপৎ বিস্মিত ও ব্যথিত।” তথ্যও সংস্কৃতি দফতরের চিঠির প্রতিলিপি বাংলা অ্যাকাডেমির সচিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছেন শিবাজীবাবু।
এ দিনই বিতর্কের ‘অবসান ঘটাতে চেয়ে’ এক লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে অ্যাকাডেমির কার্যকরী পরিষদ। সেখানে বলা হয়েছে, পুরস্কার প্রাপকের মনোনয়ন চিরকালই সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ। তা মেনেই নির্বাচকমণ্ডলী দু’টি নাম সুপারিশ করে। তার মধ্যে থেকেই একটি নাম মনোনীত হয়েছে। পাশাপাশি, এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে কোনও যুগ্ম পুরস্কারের উল্লেখও ছিল না।
বুধবারই এ বছরের বিদ্যাসাগর পুরস্কার দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার এবং মহাশ্বেতা দেবীর মধ্যে ‘মতপার্থক্যের’ দিকটি সামনে আসে। মহাশ্বেতা দেবীর অভিযোগ, পুরস্কারের জন্য যে দু’জনের নাম কমিটি স্থির করেছিল, তার মধ্যে এক জনের নাম সরকার বাদ দিয়েছে। এই বিষয়টিকে তাঁর লেখক-জীবনের ‘সবচেয়ে অপমানকর অভিজ্ঞতা’ বলেও বর্ণনা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী। এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে মহাকরণে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
এ দিনের বিবৃতিতে পরিষদের দাবি, তাঁদের বিবেচনায় শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত হওয়ার বিষয়ে আর কোনও বিতর্ক রইল না। সরকারের বক্তব্য, বিদ্যাসাগর পুরস্কার পাওয়ার কথা এক জনের। তাই অ্যাকাডেমির পাঠানো দু’টি নামের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমির সুপারিশ রাজ্য সরকার অগ্রাহ্য করেছে, এ অভিযোগের যৌক্তিকতা নেই। |
|
|
|
|
|