|
|
|
|
কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পুরভোটের আগে ক্রমশই তেতে উঠছে হলদিয়া।
বুধবার রাতে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী ঝর্ণা গিরির স্বামী ও বন্ধুবান্ধবদের রাস্তায় টেনে এনে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঝর্নাদেবীর স্বামী-সহ ৫ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চার জনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এই খবর শুনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা থেকে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিকেলে ঝর্নাদেবীকে নিয়ে তাঁরা হলদিয়া থানায় যান ও ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ ৭০ জন নেতা-কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার রাতেই অণিমা হালদার নামে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’টি অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। |
|
হাসপাতালে প্রহৃত মহীতোষ গিরি। নিজস্ব চিত্র। |
হলদিয়া পুরভোটে মনোনয়ন-পর্ব দাখিলের সময় থেকেই কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঝর্নাদেবীর অভিযোগ, “রাতে প্রচার সেরে বাড়িতে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। আচমকাই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়।” অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা ঝর্নাদেবীর স্বামী মহীতোষ গিরি, আত্মীয় মঙ্গল বেরা, বাড়িতে আসা দুই অতিথি ও তাঁদের গাড়ির চালককে রাস্তায় বার করে নিয়ে গিয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। ঝর্নাদেবীর সঙ্গেও অশালীন আচরণ করা হয়।
তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনেছিলেন ওই প্রার্থী। প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এলাকায় অশান্তি করতে গেলে পাড়ার লোকেরাই ওদের মারধর করে। আমি বা আমার দল কোনও ভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত নয়।” যার প্রত্যুত্তরে আবার প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা মায়া ঘোষ বলেন, “যা খুশি তাই চলছে এখানে। থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। মহিলা প্রার্থী সম্পর্কেও কুৎসিত মন্তব্য করতেও ছাড়ছে না ওরা।” এ দিকে, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ হলদিয়া টাউনশিপের ক্লাস্টার ৯ আবাসনে বসে গল্প করার সময় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অণিমাদেবীর স্বামী সুখেন্দুশেখর হালদার-সহ এলাকার দুই যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আঘাত গুরুতর হওয়ায় বন্দরের স্থায়ী কর্মী সুখেন্দুবাবুকে বন্দরেরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলকর্মী বাবুলাল সিংহ, বিদ্যাধর মান্না-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিএম। |
|
|
|
|
|