নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টোলগে বিতর্ককে আরও জলঘোলা করে দিয়ে, ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বিস্ফোরক ই মেল পাঠালেন তাঁর অস্ট্রেলিয়ান এজেন্ট পল ডিকিনসন। তাঁর প্রাপ্য ১২ হাজার ৫০০ ডলার ( প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা) আটকে রাখার প্রেক্ষাপটে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন ফিফাকে। ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত হুমকি দিয়ে বলেছেন, “ভবিষ্যতে ফিফা ইস্টবেঙ্গলকে যা শাস্তি দেবে, তা আপনাদের অজ্ঞতার ফল। আমার কোনও দায় নেই।”
দু’পক্ষের ই মেল যু্দ্ধ একেবারে অন্য মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। ভারতীয় ফুটবলে এমন ঘটনা প্রায় বিরল। এর মধ্যে আর একটি ‘মেল বোমা’ এসেছে ইস্টবেঙ্গলে। অস্ট্রেলিয়া ফুটবলার সংস্থার আইনজীবী লরা সেগাল কড়া চিঠিতে টোলগের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিতে বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, প্রয়োজনে ফিফায় যাবেন।
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যকে লেখা ই মেলে ডিকিনসন বলেছেন, “আপনারা যে শুধু ফিফার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ তাই-ই নয়, দেখা যাচ্ছে আইনও জানেন না। আমি ফিফার কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছি। জানি, চুক্তিপত্র যে কোনও আদালতে গ্রাহ্য হবে। আমার দিকে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এ এফ সির আন্তর্জাতিক নিয়ম বিভাগের প্রধান জেমস জনসন, অস্ট্রেলিয়া ফুটবলের আইনবিভাগের ডিরেক্টর পেদ্রাগ রাদিনোভিচ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলার সংস্থার, ভারতও যার সদস্য।”
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব এ দিনই টোলগের এজেন্টকে লিখেছিলেন, “আমার সচিবের কথামতো আপনাকে লিখছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি না, আপনার এত টাকা পাওয়া উচিত। কিন্তু সচিব খুব ভাল লোক, উনি আপনাকে অখুশি রাখতে চান না। আমি জানি, বেআইনি ভাবে আপনি মরসুমের মাঝপথে টোলগের মাইনে বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। তার জন্য ৮ হাজার ডলার নেন। আমরা রাজি হয়েছিলাম। কেননা তখন মরসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়। দলের পারফরম্যান্স বজায় রাখার জন্যই আপনি যা বলেছিলেন, তাতে রাজি হয়ে যাই। আপনাকে ভুল প্রমাণিত করতে, আপনি যা যা লিখেছিলেন, সব তথ্য আমার কাছে আছে। যাই হোক, আমি আপনাকে সাড়ে চার হাজার ডলার পর্যন্ত দিতে রাজি।” তাঁর এই আক্রমণাত্মক চিঠির পরে আরও আক্রমণাত্মক টোলগের এজেন্ট।
টোলগে যে পরের মরসুমে কোনওমতেই ইস্টবেঙ্গলে খেলতে রাজি নন, তা বোঝাই যাচ্ছে তাঁর এজেন্টের ই মেলের ভাষায়। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে যে ভাবে তিনি বিদ্রুপ করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট, দু’পক্ষের তিক্ততা কিছুতেই মেটার নয়। |