নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বার আর সুব্রত ভট্টাচার্যর ভূমিকায় কাউকে রাখছে না মোহনবাগান।
সুব্রত-যুগে দাড়ি টানার সঙ্গে সঙ্গে আপাতত টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদই তুলে দেওয়া হচ্ছে মোহনবাগানে।
টোলগে এবং ওডাফাদের সামলানোর পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে গত আই লিগের নয় নম্বর দল এয়ার ইন্ডিয়ার কোচ সন্তোষ কাশ্যপকে। কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারি ঘোষণা জুনে।
সুব্রত-প্রশান্ত জুটি এ বার যেমন সাফল্যও পাননি, তেমনই মাঠের বাইরে দারুণ সফল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অপরাজিত। জিতেছেন বেশি। কোনও বিতর্কে জড়াননি। নিজেদের মধ্যে কোনও ঝামেলা করেননি। তা সত্ত্বেও সামগ্রিক ব্যর্থতার জন্য তাঁদের সরিয়ে আনা হচ্ছে সন্তোষকে। এ যেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বা চেলসির কোচ করে আনা হচ্ছে সোয়ানসি বা নরউইচ সিটির কোচকে।
মহীন্দ্রা ইউনাইটেডে নব্বই দশকের মিডফিল্ডার সন্তোষ কাশ্যপ যে মোহনবাগান কোচ হতে পারেন, তা গত তিন সপ্তাহ ধরেই ময়দানে গবেষণা চলছে। প্রাথমিক ভাবে সবাই ধরে নিয়েছিলেন, ‘এ’ লাইসেন্স পাওয়া সন্তোষের মাথায় কেউ থাকবেন। কেননা সন্তোষের কোচিংয়ে এখনও মুম্বইয়ের কেউই অসাধারণ কিছু নতুনত্ব পাননি।
সন্তোষের এয়ার ইন্ডিয়া আই লিগে এ বার ২৬ ম্যাচে জিতেছে ৯টি, হার ১২টি। ড্র ৫টি। লিগ তালিকায় নয় নম্বর দলটি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, প্রয়াগ ইউনাইটেডকে হারাতে পারেনি। সন্তোষের দল কলকাতায় মোহনবাগানের কাছে হেরেছে ১-৩, ইস্টবেঙ্গলের কাছে ১-২ গোলে, প্রয়াগের কাছে ০-৩ গোলে। পুণেতে ইস্টবেঙ্গল জেতে ১-০, মোহনবাগানের সঙ্গে ২-২ ড্র, প্রয়াগের সঙ্গে ০-০ ড্র। সেই সন্তোষকেই পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে মহীন্দ্রায় সহকারী কোচ হিসেবে দেখেছিলেন ব্যারেটো। ব্যারেটোর সার্টিফিকেট বড় ভূমিকা নিয়েছে।
অতীতে স্ট্যানলি রোজারিওকে কোচের দায়িত্ব দেওয়ার সময় তিনি কিছু ট্রফি পেয়েছিলেন। কোচ সন্তোষ কিন্তু পূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন কোনও ট্রফি না জিতেই। ওডাফা বা টোলগের মতো বড় তারকা সামলানোর অভিজ্ঞতাও তাঁর নেই। এ জন্যই মোহনবাগান কর্তাদের নিজেদের মধ্যেই মতভেদ ছিল। অনেকে চাইছিলেন সুব্রতকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রেখে দিতে। অনেকে চাইছিলেন, সন্তোষের মাথার উপরে বিদেশি কোচ। টিডি হিসেবে। সন্তোষ তাতে রাজি হননি। তবে প্রথম দিকে তাঁর পারফরম্যান্স ভাল না হলে ক্লাব কর্তারা যে বিদেশি টিডির দিকে ঝুঁকবেন, তা বলাই বাহুল্য। |