আইপিএলে নতুন জীবন পেয়ে ফিরে আসাটা চেন্নাই নিশ্চয়ই খুব উপভোগ করছে। বুধবার টিমটাকে দেখে মনে হল, ওরা পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে চায়। বার্তাটা পরিষ্কার করে রাখল চেন্নাই অধিনায়ক নিজেই। এমন একটা ইনিংস খেলল যা মুম্বইয়ের উপর কর্তৃত্বই শুধু না, বাকি ম্যাচের জন্য সোজাসাপ্টা বার্তা ছেড়ে রাখল। ব্যক্তিগত ভাবে, এই ফর্ম্যাটে ধোনির পাওয়ার-হিটিং দেখতে খুবই ভাল লাগে। বিশ্বাস করি, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ধোনি ব্যাটসম্যান হিসেবে মারাত্মক। ধোনির বুধবারের ইনিংস প্রতিপক্ষদের বুঝিয়ে দিয়েছে, নক আউট পর্ব নিয়ে ও কতটা সিরিয়াস। আরও একটা জিনিস বোঝা গেল, পরের ম্যাচগুলোতে যে টিম টস জিতবে, তারা আগে ব্যাট করতে চাইবে। কখনওই চেন্নাইকে আগে ব্যাট করতে পাঠাবে না।
হিলফেনহস আসায় চেন্নাইয়ের বোলিংয়েও ভারসাম্য ফিরেছে। সঙ্গে মর্কেল, ব্রাভো আছে। আর অশ্বিন, জাডেজা, জাকাতি, রায়নারা। মিশেলটা ভাল হয়েছে। বোলিং নিয়ে নতুন ভাবনার রাস্তাও খুলছে সিএসকে অধিনায়কের। ধোনির দুশ্চিন্তা বরং হতে পারে টিমে ব্যাটিং। রায়না এখনও বড় ইনিংস খেলেনি। বিজয়, বদ্রীনাথ বা হাসির ধারাবাহিকতার অভাব। অধিনায়কও তো মুম্বই ম্যাচের আগে রান পাচ্ছিল না। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধের আগে সতর্ক থাকতে হবে চেন্নাইকে।
কেকেআরের বিরুদ্ধে দিল্লির গেমপ্ল্যান ভাল লাগেনি। মানছি, টসটা দিল্লি হেরেছিল। তাই বলে রস টেলর সাত নম্বরে কী করছিল? কেন পুণে-র মন্থর উইকেটে দিল্লি পেসার-বোঝাই হয়ে নামবে, যখন কিনা হাতে ফান ডার মারউইয়ের মতো বাড়তি স্পিনার ছিল? বীরু নিজে কেন বল করল না? মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয়ই এখন ব্ল্যাকবোর্ডে ফিরে গিয়েছে। এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করছে নিজেদের।
আশা করছি, শুক্রবার পিচের চরিত্র ঠিকঠাক বোঝার চেষ্টা করবে দিল্লি। মনে হচ্ছে, দিল্লির বিরুদ্ধে মন্থর উইকেট বাছবে চেন্নাই। ওই পিচে চেন্নাইয়ের খেলার ধরনটা মেলে। বীরুর ফর্ম কেমন থাকে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওর টিমকে ভাল করতে হলে, টপ অর্ডারে বীরুকে ধুন্ধুমার বাধিয়ে দিতে হবে। একবার বীরু যদি সেটা করে, একটা মজবুত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে পারে বাকিদের জন্য, তা হলে বড় স্কোর তুলে ফেলা বা সিএসকে-র রান তাড়া করা দু’টোই সম্ভব। দু’টো টিমের কাছেই এটা আদতে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। যেখানে ভুলভ্রান্তির জায়গা বলতে গেলে নেই। কারণ এই ম্যাচে যে হারবে, তার কাছে আগামী কাল বলে আর কিছু পড়ে থাকবে না। |