ওড়িশায় সিমলিপাল জাতীয় অরণ্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে অপহৃত বনকর্মীরা অবশেষে মুক্তি পেলেন। কোর এলাকায় ঢুকে হাতি মারার অভিযোগে ধৃত চারজনকে ছাড়িয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ দিতে গোপীনাথপুরের গ্রামবাসীরা গত মঙ্গলবার প্রথমে দু’জন ও পরে আরও দশজন বনকর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। এঁদের ‘পণবন্দি’ হিসাবে আটক রাখা হয়েছিল। ময়ূরভঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে আজ জানানো হয়, কাল রাতে ছাড়া পেয়েছেন ‘পণবন্দি’ ১২ জন।
পদস্থ সরকারি অফিসার, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় গ্রামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার পরেই পণবন্দিদের নিয়ে সমস্যার জট কাটে। গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে, চোরাশিকারের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সকলকেই আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। প্রথমে গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, চোরাশিকারের দায়ে ধৃত চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হলে তবেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তাঁরা ‘মুক্তি’ দেবেন ১২ জনকে।
এই জাতীয় অরণ্যে ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্তা রিজিওনাল চিফ কনজার্ভেটর অনুপ নায়ক জানান, সিমলিপাল অরণ্যের কোর এলাকায় ঢুকে হাতি মারার অভিযোগ ছিল ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধৃত ওই চারজনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় গোপীনাথপুর গ্রামের অন্তত পঞ্চাশ জন বাসিন্দা মঙ্গলবার চড়াও হন বনকর্মীদের উপরে। ধরে নিয়ে যাওয়া হয় মোট ১২ জনকে। এঁদের মধ্যে পাঁচজন স্থায়ী বনকর্মী আর বাকি সাতজন স্থানীয় গ্রামবাসী যাঁরা অস্থায়ী সহায়ক হিসাবে বন দফতরের কাজকর্ম করেন।
চোরাশিকারের দায়ে ধৃত চারজনকে কাল করঞ্জিয়া মহকুমা বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তিনজনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। একজন বন্দির মুক্তির আদেশ দিয়েছে মহকুমা আদালত। |