সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের কিছু গাছ কেটে বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত গোঘাট-১ ব্লকের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সম্প্রতি নিয়মনীতি না মেনে গাছ কাটা এবং সেই গাছ বিক্রির ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গরমিলের ওই অভিযোগ তুলে বিডিও জয়ন্ত মণ্ডলের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে গাছ বিক্রির ২ লক্ষ টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে জমা পড়েনি বলে প্রমাণ মিলেছে। বিডিও জানিয়েছেন, প্রধান গুণধর মণ্ডলকে কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পাঁচ জনের কাছ থেকে টাকা আদায় হয়নি বলে স্বীকার করেছেন। গাছ কাটার নিয়মনীতি না জানার জন্য চিঠি দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন। বিডিও বলেন, “আগামী শনিবারের মধ্যে সুদ-সহ অনাদায়ী টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে জমা না পড়লে প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেশির ভাগ গাছ স্থানীয় সিপিএম নেতাদের আত্মীয়েরাই কেনেন। গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “কিছু দিন আগে আমরা পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল-সহ বিভিন্ন হিসাব দেখার দাবি জানাই। তার পরেই দেখা যায়, গাছ বিক্রির ২ লক্ষ টাকা জমা পড়েনি। এই গরমিলের কথা বিডিও-কে জানাই।”
প্রধান স্বীকার করেছেন, তিনি গাছ কাটার নিয়মনীতি জানতেন না। তিনি বলেন, “পাঁচ জনের টাকা এখনও আমরা হাতে পাইনি। তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনকে সে কথা জানিয়েছি। নিয়মনীতি না জানার জন্য ক্ষমাও চেয়েছি।”
যে পাঁচ জনের থেকে এখনও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ টাকা পাননি, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সেনাই গ্রামের লব পাত্র। তিনি সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্রের আত্মীয়। লববাবু বলেন, “ব্যবসা মন্দ চলায় পঞ্চায়েতকে টাকা দিতে পারিনি। শীঘ্রই দিয়ে দেব।” একই বক্তব্য অন্য চার ক্রেতারও। অরুণবাবুর দাবি, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” |