সমাধি ক্ষেত্রের প্রাচীর নির্মাণে সমস্যা হুগলিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সংখ্যালঘুদের সমাধি ক্ষেত্রের প্রাচীর নির্মাণের প্রকল্প হুগলি জেলায় চালু হয়েছিল ২০০৯ সালের প্রথম দিকে। কারিগরী অনুমোদন মেলে ওই বছরেরই জুলাই মাসে। তহবিল পাওয়া গেল প্রায় তিন বছরের মাথায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে।
কিন্তু সেই টাকার সদব্যবহার করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিডিওরা। নির্মাণের ক্ষেত্রে তিন বছর আগের হিসেবের সঙ্গে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী খরচের অনেকটাই তফাত হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সে কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
যদিও জেলাস্তর থেকে এখনও কোনও জবাব মেলেনি। জেলা সংখ্যালঘু দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কমল দে জানান, সমস্যার কথা বিডিওরা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক।
হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৮টি ব্লকের মধ্যে ৬টি ব্লকের ২২টি সমাধি ক্ষেত্রের প্রাচীরের জন্য ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। এর মধ্যে আরামবাগ ব্লকে দু’টি সমাধি ক্ষেত্র (চন্দ্রবান ও হিয়াতপুর), চণ্ডীতলা ১ ব্লকের তিনটি (পশ্চিম রমানাথপুর, মামুদপুর, গঙ্গাধরপুর), ধনেখালি ব্লকের একটি (পলাশি), গোঘাট ২ ব্লকের তিনটি (দক্ষিণ সাঁইথিয়া, শ্যামবাজারে দু’টি), জাঙ্গিপাড়া ব্লকে দু’টি (চাঁকপুর, পশ্চিম গোবিন্দপুর) এবং বাকি ১১টি পাণ্ডুয়া ব্লকে। সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনগুলির বক্তব্য, অনুমোদিত টাকায় পুরো কাজ সম্ভব নয়। তবে যতটা কাজ করা যায়, ততটা করা যেতে পারে।
গত তিন বছর আগে পূর্ত দফতরের নির্ঘণ্টের সঙ্গে বর্তমানে ফারাক কতটা?
প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে প্রকল্প রচনার সময়ে মাটি কাটার ক্ষেত্রে দর চিল ৪২.২৯ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩.৭৭ টাকা। মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে খরচ ছিল প্রতি কিউবিক মিটারে ২৬.২৬ টাকা। এখন তা হয়েছে ৪৭.৫৯ টাকা। এ ভাবে খরচ বেড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |