পরীক্ষা নিয়ে নালিশ শ্রীরামপুরের কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
প্রথমে ‘ভুল’ প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা এবং পরে ‘নিয়ম বহির্ভূত’ ভাবে সেই পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্রীরামপুরের ‘গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি’র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার প্রথম ঘটনার পরে ছাত্রছাত্রীরা কলেজে অবস্থান-বিক্ষোভও করেন। ‘ভুল’ বা ‘বেনিয়ম’-এর কথা মানতে চাননি টিচার-ইনচার্জ সুমন্ত ভট্টাচার্য।
কলেজ সূত্রের খবর, সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ‘টেক্সটাইল টেকনোলজি’ এবং ‘অ্যাপারেন্ট প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। মোট ৬০ জন পরীক্ষার্থীর ওই পরীক্ষা শুরু হয় আড়াইটে নাগাদ। শেষ হওয়ার কথা ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। কিন্তু প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরেই ছাত্রছাত্রীরা আপত্তি তোলেন। অন্য ‘কোর্সে’র প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এক ছাত্রের কথায়, “এত দিন ধরে যা পড়লাম, প্রশ্নপত্রে দেখি পুরো অন্য বিষয়। এ ভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছিল।” এক ছাত্রী বলেন, “এ ভাবে কেন প্রশ্নপত্র দেওয়া হল, বুঝতে পারছি না।”
সুমন্তবাবু পরীক্ষার সময়ে কলেজে ছিলেন না। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি আসেন। তার পরে পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। ফের ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক জানান, এ ভাবে সন্ধ্যায় আচমকা পরীক্ষা নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিয়ম বহির্ভূত’। কয়েক জন শিক্ষক ওই ‘এগ্জামিনেশন কমিটি’ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে কলেজ সূত্রের খবর।
রাতের পরীক্ষার পরে ছাত্রছাত্রীরা আর এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। সুমন্তবাবু বলেন, “পরীক্ষা নিয়ে কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না, আমার জানা নেই। আমি সেই সময়ে কলেজে ছিলাম না।” রাতে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি। রাত ৮টা পর্যন্ত কলেজে ছাত্রছাত্রীদের থাকা নিয়ে তাঁর কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশ্ন ওই বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই তৈরি করেন। এই শাখায় রাজ্যে মাত্র ২টি কলেজ রয়েছে। এ দিনের ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ভুল হলে সেটাও দেখা হবে।” |