নরওয়ে থেকে ফেরত পাওয়া দুই শিশুকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি গেলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সাগরিকা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কুলটি থানায় এই অভিযোগ করেন তিনি।
সাগরিকা জানান, এ দিন দুপুরে তিনি কুলটির বৃন্দাবন গলিতে শ্বশুরবাড়িতে বাচ্চাদের দেখতে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বাবা মনোতোষ চক্রবর্তী বুধবার রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে নাতি-নাতনিকে ফেরত চান। তখনই দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তাঁর অভিযোগ।
সাগরিকার অভিযোগ, এ দিন দুপুরে তিনি কয়েক জন পরিজনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি। হঠাৎই গাড়িতে চেপে কয়েক জন এসে গালিগালাজ করে, ধাক্কা মেরে তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। তাঁর কথায়, “কয়েক জন প্রতিবেশী আমাকে তাঁদের বাড়ি নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে আমাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করায়।” তাঁর শ্বশুর অজয় ভট্টাচার্য অবশ্য বাধা দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “সাগরিকা তো এখানেই থাকতে পারে। তা হলে সব সময় সন্তানদের কাছে পাবে।”
অজয়বাবুর বক্তব্য, নরওয়ে সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের লিখিত চুক্তি অনুযায়ী, শিশু দু’টিকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তা লঙ্ঘন করা হলে নরওয়েতে অনুরূপ আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তিনি বলেন, “সাগরিকা কেন এখানে থাকতে চাইছে না, জানি না।” মনোতোষবাবুর জবাব, “শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওর উপরে নির্যাতন করতে পারেন। তাই ওখানে রাখা নিরাপদ মনে হচ্ছে না।” আসানসোলের এসিপি (পশ্চিম) অঞ্জলি সিংহ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। |