এসে গেল বাংলাদেশি ইলিশ, প্রশ্ন দাম নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পেট্রাপোল |
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজ্যে চলতি মরসুমে প্রথম বাংলাদেশি ইলিশ ঢুকল। বাংলাদেশ থেকে দু’টি ট্রাকে করে ১৫ টন ইলিশ পেট্রাপোল বন্দরে এসে পৌঁছয়।
বাংলাদেশি ইলিশ রফতানিকারীদের কাছ থেকে এ দিন পেট্রাপোলে ইলিশ নিতে এসেছিলেন মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দুই মন্ত্রীর হাতে ইলিশ তুলে দেন বাংলাদেশ ফিশ এক্সপোর্র্টার্স অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ ইমদাদ হোসেন। এ দিন আসা ইলিশের ওজন গড়ে ৮০০ থেকে এক কিলোগ্রাম। |
জামাইষষ্ঠীর আগে অবশ্য প্রশ্ন একটাই। বাজারে বাংলাদেশি ইলিশ কী দামে মিলবে? কারণ, এখন বাজারে যা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তার দর কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা। বাংলাদেশি ইলিশের দর তা হলে কত হবে? এ রাজ্যের ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন যে ইলিশ এসেছে, তার পাইকারি দাম ঠিক হয়েছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা। গত বছর এই দাম ছিল সাড়ে তিনশো টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এ বার প্রতি কেজি ইলিশের উপরে ৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করেছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দাম বেড়েছে।” এই অবস্থায় খোলা বাজারে বাংলাদেশি ইলিশের দামও ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে বলে তিনি জানান।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জামাইষষ্ঠীর কারণে এই ইলিশ আমদানি করা হয়েছে। তার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে অতিমাত্রায় দাম নিতে না পারেন, সে জন্য বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হবে। আমি নিজেও বাজারে ঘুরব।” একই আশ্বাস খাদ্যমন্ত্রীরও। মাছ ব্যবসায়ীদের বা সাধারণ ক্রেতাদের অবশ্য প্রশ্ন, এখনই যেখানে ইলিশের দাম প্রায় ৭০০, সেখানে বাংলাদেশি ইলিশের দর তার চেয়ে কম হবে কী করে?
তবে জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে ইলিশ খাওয়াতে শাশুড়িরা এই দামটুকু গায়ে মাখবেন না বলেই মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। হাজার হোক বাংলাদেশের ইলিশ তো! |