টাকা নেই কাঁচামাল কেনার
পেট্রোকেম চালু রাখা নিয়েই সংশয়
শা এমনই শোচনীয় যে, পুরো উৎপাদন চালু রাখার মতো ন্যাপথাও কিনতে পারছে না হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। অন্তত ৩০০ কোটি টাকা এখনই সংস্থার হাতে না-এলে, সংশয় রয়েছে মাসের শেষ পর্যন্ত কারখানা চালু রাখা নিয়েও। এই অন্ধকারে একমাত্র আশার আলো ওএনজিসি-র শাখা সংস্থা ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআরপিএল)-এর তরফ থেকে প্রকল্পে শরিক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ। কিন্তু তাতেও অনিশ্চয়তা কমছে না বিন্দুমাত্র। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন।
সমস্যার সমাধান খুঁজতে অবশ্য বৃহস্পতিবার পেট্রোকেমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, হাল ফেরাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে ফের ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে রাজ্য। একই সঙ্গে, উৎপাদন চালু রাখতে ধারে ন্যাপথা সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলকে অনুরোধ করবে তারা।
পেট্রোকেম প্রকল্পের প্রধান কাঁচামাল ন্যাপথার অন্যতম সরবরাহকারী ইন্ডিয়ান অয়েল। এ ক্ষেত্রে মোট প্রয়োজনের ২০ শতাংশই জোগায় এই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। আগে ৯০ দিনের ধারে পেট্রোকেমকে ন্যাপথা দিত তারা। কিন্তু এখন সেই সুবিধা বন্ধ হওয়ায় কাঁচামাল কিনে উৎপাদন চালু রাখাই দায় হয়ে উঠেছে।
সংস্থা সূত্রে খবর, আপাতত মোট উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ পণ্য কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, টাকাই নেই পুরো উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যাপথা কেনার। ভাঁড়ারের এমনই হাল যে, পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগালে আগামী ২৬ মে-ই ন্যাপথার অভাবে বন্ধ হয়ে যেত কারখানা। এই দুরবস্থা কাটাতেই এই মুহূর্তে ৩০০ কোটি টাকা চাইছে পেট্রোকেম। ঠিক যে ভাবে গত বছর ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার পর খাদের মুখ থেকে ফিরে এসেছিল তারা।
স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে এমআরপিএল-এর আগ্রহকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
এ প্রসঙ্গে ওএনজিসি-র মুখপাত্র এস কে ঝা জানান, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, “পেট্রোকেমে লগ্নি করতে ইচ্ছুক এমআরপিএল। তবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে পেট্রোকেমের মতামতের উপরেই।”
কিন্তু লগ্নিকারী হিসেবে এমআরপিএল-কে আনতে রাজ্য সরকার এবং চ্যাটার্জি গোষ্ঠী কতটা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবে, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়ে। কারণ, এর আগেও সংস্থায় পুঁজি টানতে ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর’ হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েল-কে আনার বিষয়ে একমত হতে পারেনি চ্যাটার্জি গোষ্ঠী ও পূর্বতন বাম সরকার। তখন পেট্রোকেমে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বাড়ানোর প্রস্তাবে বেঁকে বসেছিল চ্যাটার্জি গোষ্ঠী।
জমানা বদলেছে। কিন্তু পেট্রোকেমের মালিকানা নিয়ে বিবাদ মেটেনি এখনও। এমনকী এ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হতে চান চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। তাই মালিকানা বিতর্কের এই আবহে এখন এমআরপিএল-কে শেয়ার দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য ও চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর অবস্থান কী দাঁড়াবে, এই মুহূর্তে পেট্রোকেমের ভবিষ্যৎ অনেকখানি নির্ভর করছে তার উপরই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.