প্রখর রোদ। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ সব উপেক্ষা করে প্রচারে বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে দেখে গেল কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। সকাল সকাল ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায় অভিজিৎবাবুকে। সঙ্গে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী কামাল আনসারি। দলের কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বলতে থাকেন, “বিধায়ক এসেছেন।” বিধায়ককে কখনও দেখা গেল, হাত জোড় করে নমস্কার করতে কখনও আশীর্বাদ করতে। মাঝে মাঝে প্রার্থী কামাল আনসারির দিকে হাত বাড়িয়ে বলছেন, “উনি আমাদের প্রার্থী। আমাকে যেমন জয়ী করেছেন, তাঁকেও জয়ী করুন।” |
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায়। নিজস্ব চিত্র। |
পাশাপাশি অভিজিৎবাবু কলট্যাঙ্কি পাড়ায় বিড়ি শ্রমিকদের পরিচয়পত্র আছে কি না বা সরকারি সুবিধা পান কি না তার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে প্রার্থীকে বলেন, তাঁদের কী অসুবিধা আছে এবং পরিচয়পত্র পেতে গেলে কী কী কাগজপত্র লাগবে সেগুলি দেখতে। সকালে ছাতুর সরবত ও তিন গ্লাস জল খেয়ে এই ওয়ার্ডে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালালেন অভিজিৎবাবু।
অন্য দিকে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ চড়া রোদ উপেক্ষা করে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী পুরপ্রধান বিপ্লব ওঝার সমর্থনে প্রথম নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেন সাংসদ শতাব্দী রায়। মিনিট কুড়ি ভাষণে তিনি মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার কথা বলেন। সাংসদ বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কেউ কেউ নির্বাচনী চমক দিতে চাইছেন। আপনারা ভালবেসে বিধানসভায় তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, এই ভোটটাও তৃণমূলকে দেবেন। তা হলেই আপনাদের উন্নয়ন হবে।” পাশাপাশি এ দিন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মধু ভকতের সমর্থনে একটি নির্বাচনী সভায় প্রায় একই বক্তব্য রাখেন সাংসদ। এই ভাবে এ দিন দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারলেন বিধায়ক ও সাংসদ। |