দিন পাঁচেক জেলায় সে ভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। প্রত্যেক দিন লাফিয়ে বাড়ছিল তাপমাত্রা। সকাল ৮টা না বাজতে বাজতেই সূর্যের চড়া রোদ গায়ে নিতে পারা যাচ্ছিল না। বেলা বাড়লে তো কথাই নেই। নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে বেলা দশটার পর আর বাড়ি থেকে কেউ বেরতে চাইছিলেন না। যাঁরা বাধ্য হয়ে বাইরে বেরিয়েছেন তাঁদেরকে চূড়ান্ত কষ্টভোগ করতে হয়েছে।
দিন কয়েক ধরে তাপপ্রবাহের জেরে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার সঙ্গে বীরভূমের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছিল। বুধবার সেই কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে এই জেলার তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতরের হিসাব অনুযায়ী যা স্বাভাবিকের থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। |
শ্রীনিকেতন থেকে জানা গিয়েছে, এদিনও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.২ ডিগ্রি। ফলে অতিরিক্ত গরমে কাহিল জেলার রামপুরহাট, সিউড়ি, বোলপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর-সহ গোটা জেলার চিত্রটা ছিল মোটামুটি এরকম। সকাল দশটার পর থেকে তুলনায় ফাঁকাফাঁকা রাস্তা ঘাট, দোকান-বাজার। যাঁরা বিভিন্ন কাজে বাইরে বেরিয়েছেন তাঁদের আধিকাংশই ছাতা, টুপি, চশমায় নিজেদের যথাসম্ভব নিজেদের ঢেকে বেরিয়েছেন। অফিসগুলিতে কর্মীদের হাজিরা থাকলেও তাঁদের কাছ থেকে কাজ নেওয়ার লোকজন কমই ছিল। |
আর যাঁরা শ্রমজীবী তাঁরা কাজের ফাঁকে কোথাও একটু ছায়ার সন্ধান করেছেন বা জিরিয়ে নিচ্ছেন। এমন কী নলহাটি পুরসভার ভোট প্রচারেও প্রচণ্ড দাবদহ প্রভাব ফেলছে। এ দিন বীরভুমের সাংসদ শতাব্দী রায় দু-দুটি প্রচারসভা করেছেন নলহাটিতে। কিন্তু শতাব্দী রায় এলেই যে ভীড় তাঁকে অনুসরণ করত, সেটা এ দিন গরমের জন্য খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে। প্রচারের ফাঁকে দলীয় কর্মীরাও রোদ থেকে বাঁচতে আশ্রয় খুঁজেছেন। উল্টো দিকে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিমের বিক্রি-বাট্টা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। তবে ১০-২০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হলেও ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং নেই।
|
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, দয়াল সেনগুপ্ত, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |