গাছ বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ কাজল সাঁতরা বিডিও-র কাছে সোমবার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত খাতায়-কলমে যত গাছ বিক্রি করার কথা বলেছে, তার পাঁচ গুণ বেশি গাছ বিক্রি করছে তারা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযোগকারী অভিযোগ করেছেন, মাস দুয়েক আগে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েতের লাগানো গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছিল। ৩৩০টি গাছের জন্য ৬০ হাজার টাকা দর ওঠে সেখানে। চুক্তি অনুযায়ী সেই টাকা জমা পড়ে পঞ্চায়েত তহবিলে। তাঁদের অভিযোগে, বাস্তবে দেখা গিয়েছে, চুক্তির থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি গাছ কাটা হয়েছে পঞ্চায়েত এলাকায়। মোট ১৫১৮টি গাছ কাটা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। অর্থাৎ সেই অনুযায়ী, ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, গাছ কাটা নিয়ে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
সাহাজাদপুর থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সিরাজুল ইসলামের দাবি, “আমি প্রধান থাকাকালীন পঞ্চায়েত এলাকায় সোনাঝুরি-সহ নানা গাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলি বিক্রির যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ গাছগুলি বিক্রির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়।” তিনি অভিযোগ করেন, গাছ বিক্রির ব্যাপারে প্রথমে তথ্য জানার অধিকার আইনে বিডিও-র কাছে মোট কত গাছ বিক্রি হয়েছে ও তা বাবদ কত টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা জানতে লিখিত আবেদন করা হয়। বিডিও-র পরামর্শ মতো ওই আবেদনপত্রটি পঞ্চায়েত অফিসে জমা দেওয়া হয়। তাতে জানা যায়, ৩৩০টি গাছ বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা তহবিলে জমা পড়েছে। সিরাজুল ইসলামের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই দুর্নীতি বেরিয়ে পড়বে।
বামুনপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃণাল প্রামাণিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নিয়ম মেনেই গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তথ্য বিকৃত করে পঞ্চায়েতের নামে অপপ্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে ওই দু’জন নানা অভিযোগ করছেন।” |