সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকা ও চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ তুলে বুধবার দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিজনেরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ভোরে জাতীয় সড়কে ভিড়িঙ্গির কাছে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন গোপালমাঠের বাসিন্দা মানিক ঘোষ (৩৫)। তিনি জখম অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার ধারে পড়েছিলেন। টহলদার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। মানিকবাবু একটি বেসরকারি ফেরো অ্যালয় কারখানার কর্মী। তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরে সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ তাঁকে পাঠানো হয় ইএসআই হাসপাতালে। ইএসআই হাসপাতালের সুপার শোভন পান্ডা জানান, গুরুতর জখম মানিকবাবুর জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে রোগীর পরিজনেরা তাঁকে নিয়ে রওনা দেন। ঘণ্টাখানেক পরে ফিরে এসে রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ করেন, পানাগড়ের কাছে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় মানিকবাবুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকা এবং চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ দায়ের করেন মানিকবাবুর ভাই রতনবাবু।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার ধারে পড়ে থাকায় রক্তক্ষরণের ফলে সমস্যা হয়। তার পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ধকলে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। সম্ভবত সে কারণেই মানিকবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন হাসপাতাল সুপার শোভনবাবু। তাঁর দাবি, “রোগী মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকার কথা ভিত্তিহীন। ওই সিলিন্ডারে এখনও যথেষ্ট অক্সিজেন মজুত রয়েছে। যা অন্য রোগীর চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানো যাবে।” |