|
|
|
|
শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে নির্মাণে অনিয়ম, তদন্ত দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোথাও কৃষকদের জন্য তৈরি শেড স্টল করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও পেট্রল পাম্পের জন্য প্রাক্তন ফুটবলারকে দেওয়া জমিতে গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে পাঁচতারা হোটেল। বাম আমলে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে নির্মাণ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের দাবি উঠেছে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত নিয়ন্ত্রিত বাজার এমপ্লয়িজ ফেডারেশন ইতিমধ্যেই অভিযোগের তালিকা তুলে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। অভিযোগ, বিপণন পর্ষদের আধিকারিকদের একাংশ ও সিটুর মদতে দুর্নীতি হয়েছে। কৃষি বিপণন পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের ১৫৩টি নির্মাণ বন্ধ রাখা হয়েছে। তার মধ্যে সিটুর জেলা সম্পাদক অজিত সরকারের ছেলে অচিন্ত্যবাবুর হোটেলের দোতলার নির্মাণও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত বাজার সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্যই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগই খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছে ফোসিন। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ যে রয়েছে সেটা স্পষ্ট। না-হলে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ জারি হত না। কারা এই দুর্নীতিতে জড়িত সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” নিয়ন্ত্রিত বাজার এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, “বাম আমলে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে দুর্নীতির অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। কর্তৃপক্ষকে তার তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে।” নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব গোপাল দে জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তাদের বিচারাধীন। তাঁরাই বিষয়টি দেখছেন। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রেই জানা গিয়েছে, কৃষক যাতে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারেন সে জন্য ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক দশক আগে শেড তৈরি করা হয়েছিল। বছর পাঁচেক আগে সেটি স্টল করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অথচ এই ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাই করা হয়নি বলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের এক আধিকারিক অভিযোগ জানান। শিলিগুড়ির আলু, পেয়াঁজ ব্যবসায়ীর স্টল তৈরির ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রথমবার স্টল তৈরির পরে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে স্টল দেওয়া হয়। পরে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কৃষি বিপণন পর্ষদের কর্তাদের যোগসাজসে দ্বিতীয় দফায় জমি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|