|
|
|
|
সর্বদল সভা হবে ২৮শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আলিপুরদুয়ার জেলা গঠন বিষয়ক বৈঠকে সর্বদলীয় সম্মতির সিলমোহর পড়তেই এলাকাবাসীর তীব্র উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। মহকুমার সর্বত্রই একই আলোচনা শোনা যাচ্ছে। জেলা হলে কোথায় বসবেন জেলাশাসক? জেলা পুলিশ সুপারের দফতর কোথায় হবে? এমন নানা প্রশ্নেই জল্পনা তুঙ্গে। গত ১৭ মে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেখানে পৃথক জেলার সিদ্ধান্তে সকলেই সায় দেন। আগামী ২৮ মে ফের আলোচনায় বসবে সর্বদলীয় সভা। ওই দিন জেলার নতুন মহকুমা গঠনের বিষয়ে আলোচনা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আশা করছি খুব দ্রুত আলিপুরদুয়ার মহকুমা পৃথক জেলার মর্যাদা পাবে।” তিনি জানান, জেলা ঘোষণার পরে আলিপুরদুয়ার মহকুমাশাসকের দফতরে বসবেন নতুন জেলাশাসক। সব ঠিকঠাক থাকলে মহকুমাশাসকের বাংলো জেলাশাসকের বাংলো হবে। থাকবেন একজন অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) এবং একজন অতিরিক্তি জেলা শাসক (ভূমি)। এ ছাড়াও সদর মহকুমাশাসক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দফতর হবে জেলা পুলিশ সুপারের দফতর। প্রশাসনিক দফতরের সংখ্যা বাড়বে। রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি জেলার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি দেখবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে জেলা ঘোষণার পরে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য থেকে কৃষি সমস্ত বিষয়ে আলিপুরদুয়ারে অনেক সুযোগ সুবিধা বাড়বে। তৈরি হবে প্রচুর সরকারি দফতর ও কর্মীদের জন্য আবাসন। পাল্টে যাবে আদালতের ছবি। আজ অতিরিক্ত জেলা আদালত জেলা দায়রা আদালতে উন্নীত হবে। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার বলেন, “জেলা ঘোষণার পরে হাইকোর্টের নির্দেশে আলিপুরদুয়ারে হতে পারে নার্কোটিক ড্রাগ, জুভেনাইল আদালত। এত দিন ওই সমস্ত বিষয়ে মামলার জন্য বাসিন্দাদের জলপাইগুড়ি আদালতে ছুটতে হয়েছে।” বাসিন্দারা জানেন, জেলা ঘোষণার পরে কত দ্রুত তাঁদের প্রিয় শহর পাল্টে যাবে। ওই উন্নয়নের আশাতেই তো বছরের পর বছর আন্দোলনে পা মেলানো। এতদিনের অধরা স্বপ্ন পূরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকে তাই বাঁধ ভাঙা খুশির স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার পথে কেউ এ বার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। অদ্ভুত এক উন্মাদনায় কাঁপছে শহর। বাইরে নেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এখন কোন এলাকা নিয়ে মহকুমা ঘোষণা করা উচিত তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রদেশ কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “পৃথক জেলা হলে সার্বিক উন্নয়ন হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এলাকা উন্নয়নের দাবি করার সুযোগ পাবেন।” ক্রীড়া ক্ষেত্র নিয়ে উপেক্ষার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। খেলার মাঠেও তাই আশার আলো। খেলোয়াড়রা মনে করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হলে তাঁদের সুযোগ সুবিধা অনেক বাড়বে। আর এস পি নেতা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস বলেন, “সার্বিক উন্নয়নে মহকুমার ব্লকগুলিকে ভাগ করা এবং কুমারগ্রাম ও বীরপাড়াকে মহকুমা করা প্রয়োজন।” তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “জেলা হলে আলিপুরদুয়ারে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। পযর্টন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।” |
|
|
|
|
|