|
|
|
|
স্থগিতাদেশ বহাল |
পরিদর্শন এক্তিয়ারে পড়ে না, উচ্চশিক্ষা দফতরকে ভর্ৎসনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই পরিদর্শনের উপরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত মন্তব্য করেছেন, উচ্চশিক্ষা দফতর এক্তিয়ার-বহির্ভূত কাজ করছে। ওই দফতরকে ভর্ৎসনা করে তিনি জানিয়ে দেন, এই ধরনের পরিদর্শন তাদের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে না।
উচ্চশিক্ষা দফতর ‘কলকাতা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি বেসরকারি কলেজকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, তাদের পাঁচ সদস্য ওই কলেজ পরিদর্শনে যাবেন। কারণ, ওই কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। কলেজ-কর্তৃপক্ষ ওই চিঠি পেয়েই হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য, উচ্চশিক্ষা দফতরের এই ধরনের কোনও পরিদর্শন করার কিংবা অভিযোগ তোলার এক্তিয়ার নেই। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি উচ্চশিক্ষা দফতরের পরিদর্শনের উপরে স্থগিতাদেশ দেন। তিনি বলেন, “এটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। আইনে এই ধরনের পরিদর্শনের কোনও সংস্থান নেই।”
কলেজের পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই ওই কলেজকে অনুমোদন দিয়েছে। এআইসিটিই-র অনুমোদনের ভিত্তিতে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে অনুমোদন দেয়। কলেজটি বেসরকারি, রাজ্য সরকার তাদের কোনও টাকা দেয় না। একটি সোসাইটি ওই কলেজ চালায়। এআইসিটিই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট নিয়মবিধি অনুযায়ী কলেজ চলে। তাই কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে যদি কোনও অভিযোগ থেকেও থাকে, সে-ক্ষেত্রে এআইসিটিই বা বিশ্ববিদ্যালয়ই তা খতিয়ে দেখবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার হলে করবে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে এর কোনও সংযোগই নেই।
রাজ্য সরকারের পক্ষে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র অবশ্য বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সব কলেজের ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের কিছু দায়িত্ব থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন করতে চায় উচ্চশিক্ষা দফতর। এর আগে বিচারপতি তপেন সেন অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মামলাটির বিচার শুরু হয়নি। তাই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি গুপ্ত। |
|
|
|
|
|