মঞ্চের নীচে বসেছিলেন মঙ্গলবার। বুধবার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেল তাঁকে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর ‘ডানা ছাঁটতে’ যে পদক্ষেপই করুন, সিপিএমের প্রাক্তন
সাংসদ অনিল বসু ফের বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আছেন নিজের পথেই! |
চুঁচুড়ায় জেলা বামফ্রন্টের ডাকা বিক্ষোভ-সমাবেশের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে পুলিশ সুপারের দফতরের পাশে বক্সিং গ্রাউন্ডে বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। সূর্যবাবুর থেকে হাত কয়েক দূরে বসেছিলেন অনিলবাবু। দু’জনের মধ্যে সামান্য বাক্য বিনিময় হয়। সে সময়ে মোবাইল ফোনে অনিলবাবুর ছবি তুলতে দলের বহু কর্মী-সমর্থককে হুড়োহুড়ি করতে দেখা গিয়েছে! গত বছর বিধানসভা ভোটের সময় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অশালীন’ মন্তব্য করে ‘ভর্ৎসিত’ হওয়ার অব্যবহিত পরেও অনিলবাবুকে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল।
অনিলবাবু এ অবশ্য এ দিনও বক্তৃতা করেননি। মঞ্চ থেকে নামার পরে সূর্যবাবুকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন, দলে অনিলবাবুর ‘অবস্থান’ এখন কী? উত্তর মেলেনি। অনিলবাবু নিজেও এ নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কেউ ‘সাসপেন্ড’ হলেও দলের বা গণসংগঠনের কর্মসূচিতে থাকতে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনও বাধা নেই।
বিরোধী দলনেতা এ দিন বক্তৃতায় আগাগোড়া রাজ্যকে তুলোধোনা করেছেন। সিপিএমের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসের জেরে’ হুগলি জেলায় প্রায় ১৬০০ বাম নেতা-কর্মী ঘরছাড়া। তাঁদের ফেরানোর দাবিতেই বিক্ষোভ-কর্মসূচি।
সূর্যবাবু বলেন, “শুধু বাম নেতা-কর্মীই নন, কংগ্রেসের লোকও খুন হচ্ছে। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেও খুনোখুনি হচ্ছে।” তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যে সর্বগ্রাসী নৈরাজ্য চলছে।” |