|
|
|
|
‘অসন্তুষ্ট’ মহাকরণ পুরস্কার বিতর্কের জেরে পদ ছাড়লেন মহাশ্বেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কিছু দিন ধরেই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘মানসিক দূরত্ব’ বাড়ছিল। এ বার বিদ্যাসাগর পুরস্কারের মনোনয়ন ঘিরে তা বড় আকার নিল। বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি পদ ছাড়তে চেয়ে বুধবার মহাকরণে চিঠি পাঠালেন মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর অভিযোগ, ওই পুরস্কারের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে যে দু’জনের নাম স্থির করা হয়েছিল, তাঁদের এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মহাশ্বেতা দেবীর ক্ষোভ এবং ‘পদত্যাগ’ প্রসঙ্গে সরকারি ভাবে অবশ্য এ দিন কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে মহাকরণের অন্দরে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি ‘ভাল ভাবে’ নেননি। নির্দিষ্ট এক জনকে পুরস্কার দেওয়া নিয়ে ‘জোরাজুরি’ করাকে তিনি বরং ‘পদের অপব্যবহার’ বলে মনে করছেন। বাংলা অ্যাকাডেমি সূত্রের খবর, যাঁর নাম বাদ গিয়েছে, তাঁর মনোনয়ন নিয়ে সহমত ছিলেন না অ্যাকাডেমি সদস্যদের একাংশই। তা ছাড়া সরকারের বক্তব্য, পুরস্কার পাওয়ার কথা এক জনেরই। বাংলা অ্যাকাডেমির পাঠানো দু’টি নামের মধ্য থেকেই একটি নাম বেছে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অ্যাকাডেমির সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে, এ অভিযোগ ধোপে টেকে না। যদিও সরকারের এই ভূমিকাকে তাঁর লেখক-জীবনের ‘সবচেয়ে অপমানকর অভিজ্ঞতা’ বলে বর্ণনা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তাঁর বিভিন্ন আন্দোলনে পাশে থেকেছেন প্রবীণ মহাশ্বেতা। মমতার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতাও দীর্ঘদিনের। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভুষিত করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত তাই মমতা-ঘনিষ্ঠ বিদ্বজ্জনেদেরও কিছুটা অবাক করেছে। তবে ইদানীং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহাশ্বেতা দেবী সরকারের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন, এটাও ঘটনা। বিদ্যাসাগর পুরস্কারের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে? সরকারের তরফে এক অফিসার ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, আগে বিভিন্ন অ্যাকাডেমি থেকেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পুরস্কারপ্রাপকদের নাম চূড়ান্ত হয়ে আসত। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই নিয়ম বদল করে স্থির করেছে, অ্যাকাডেমিগুলি এক বা একাধিক নামের তালিকা পাঠাবে। সেগুলি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত নাম স্থির করবে কেন্দ্রীয় বাছাই কমিটি। সব কমিটিই এই ব্যাপারে অবহিত। সেই ভাবেই বিদ্যাসাগর পুরস্কারের জন্য বাংলা অ্যাকাডেমির পাঠানো দু’টি নামের থেকে একটি বেছে নেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|