তালড্যাংরায় সিপিএম ও তৃণমূল পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলছে। অন্য দিকে, পাশের বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালড্যাংরার দুন্দুড়ি গ্রামে সিপিএমের তিন কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় স্থানীয় নতুনগ্রামের বাসিন্দা অনিল মণ্ডলকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সিপিএমের তালড্যাংরা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল হাঁসদার অভিযোগ, “মঙ্গলবার বিকেলে দুন্দুড়ি গ্রামে আমাদের একটি সভার পরে তৃণমূলের লোকেরা আক্রোশবশত মোটরবাইক আরোহী আমাদের তিন কর্মীর উপরে লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। অনিলবাবু গুরুতর জখম হন। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।” অন্য দিকে, তৃণমূলে সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধর করার অভিযোগ দায়ের করেছে। তৃণমূলের তালড্যাংরা ব্লক সম্পাদক মনসারাম লায়েকের পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএম কর্মীরা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য সভার আগে ও পরে সশস্ত্র মিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে আমাদের জনা চারেক কর্মীকে ওরা মারধর করে। পুলিশের কাছে আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।” তাঁর দাবি, “সিপিএমের ওই কর্মীদের এলাকার বাসিন্দারা মারধর করেছেন। আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়।” সিপিএম অবশ্য সশস্ত্র মিছিলের অভিযোগ মানতে চায়নি। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিপিএম পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি। কেন? সুনীলবাবুর অভিযোগ, “তালড্যাংরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ আমাদের দলের কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয়।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ শুনিনি। ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের কাছেও অভিযোগ জানানো যায়।”
অন্য দিকে, বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়া পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে বুধবার বিকেলে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। ঝণ্টু বায়েন নামের ওই ব্যক্তিকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাদের দল ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েতের কাজ পরিচালনা করা নিয়ে দলেরই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। দলের এক গোষ্ঠীর লোকেরা মারধরের ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ। তবে দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ঠিক নয়। সামান্য ঘটনা।” |