সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক চাষিদের জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি পূরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ হয়েছেন বলে সমালোচনা করলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। যে কারণে, ভবিষ্যতে সিঙ্গুরের মানুষ যদি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ঘেরাও করেন’, তবে সিপিএমের তা ‘ভাল না লাগলেও’ তাদের কিছু করারও থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার হালিশহরে দলীয় একটি সভায় হাজির ছিলেন গৌতমবাবু। সরকারের সমালোচনা করলেও তার সুর এখনই ‘উঁচু’ করতে চান না তিনি। গৌতমবাবুর কথায়, “নতুন সরকার মাত্র এক বছর হল ক্ষমতায় এসেছে। এখনই তাদের কড়া সমালোচনা করা ঠিক হবে না।” বামেদের ৩৪ বছরের কার্যকালের তুলনায় নতুন সরকারের কাজের সময়সীমা যে খুবই নগন্য, তা ‘ভোলেননি’ পোড় খাওয়া এই সিপিএম নেতা। সিঙ্গুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “অনিচ্ছুক চাষিদের জমি ফেরত দিতে পারছে না সরকার। বাস্তবে তা সম্ভবও নয়।” |
বৃন্দা কারাট। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য। |
সিপিএমের ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যদের সাহায্যের জন্য আগামী ৬-১০ জুন বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচিতে নামছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম। রাজনৈতিক হিংসায় নিহত ওই সব পরিবারকে সাহায্য করার পাশাপাশি এই কর্মসূচিকে তাঁরা ‘জনসংযোগের’ কাজেও লাগাতে চান বলেও জানিয়েছেন গৌতমবাবু-সহ অন্য সিপিএম নেতারা। তাঁদের মতে, পূর্বতন ‘ভুল-ত্রুটি’ সংশোধনের চেষ্টাও হবে এর মাধ্যমে।
হালিশহর ও ভাটপাড়ায় এ দিন সভার আর এক বক্তা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মহিলাদের উপরে ‘অত্যাচার’-এর প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন। বৃন্দার কথায়, “মেয়েদের উপরে আগেও অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের মতো ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী সাজানো বলায় এরপর কোনও মহিলা থানায় অভিযোগ জানানোর সাহসই পাবেন না।” এ রাজ্যে মহিলারা ‘নিরাপত্তার অভাব’-এ ভুগছেন বলেও মনে করেন সিপিএমের এই মহিলা নেত্রী। বৃন্দার কথায়, “কেউ পছন্দের কথা না বললেই তাকে মাওবাদী কিংবা সিপিএম সাজিয়ে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” |